০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:২৭

হালট্রিপ কেলেঙ্কারির হোতা সেই তাজবীর গ্রেপ্তার

তাজবীর হাসান  © সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন হালট্রিপ কেলেঙ্কারির হোতা মোহাম্মদ তাজবীর হাসান। তিনি সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা তাকে বিমানবন্দরের থানায় হস্তান্তর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক এসআই আনিসুর রহমান বলেন, তাজবীরকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনা তুলে ধরে সংস্থাটির কার্যক্ষমতার প্রশংসা করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। শনিবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে সায়ের উল্লেখ করেন, ‘দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কার্যক্ষমতা নিয়ে আমরা প্রায়ই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করি। সম্ভবত সময় এসেছে তাদের তৎপরতার কিছুটা হলেও প্রশংসা করার।

তিনি লেখেন, আজ (৪ অক্টোবর) মধ‍্যরাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ একটি সংস্থার প্রচেষ্টায় হাল ট্রিপ কেলেঙ্কারির অন্যতম কুশীলব, সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তাজবীর হাসানকে আটক করা হয়েছে।
পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তুরস্কের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘২০২০ সালে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় হালট্রিপ, ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি। তবে জানুয়ারি ২০২০-এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও অন্তত দুটি দেশের (তুরস্ক ও ভানুয়াতু) নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে মোহাম্মদ তাজবীর হাসান, এ ছাড়া তার মাল্টার রেসিডেনসি এবং স্পেনের গোল্ডেন ভিসা রয়েছে বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।

সায়ের লেখেন, ২০২০ সালে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা মেরে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পর ২০২০-এর মার্চে তাজবীর ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং দুবাইয়ে থিতু হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ফ্রন্ট কাভার হিসেবে দুবাই, স্পেন, মাল্টায় বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন, পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তাকে ভানুয়াতু এবং তুরস্কের নাগরিকত্ব কিনতেও সহায়তা করে। 

তিনি লেখেন, বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানায় তাকে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আদালতে প্রেরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থা এই অর্থনৈতিক অপরাধীর কাছ থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য জানতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। 

তিনি আরও লেখেন, যদি আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠান এই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান হালট্রিপের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনে উপস্থিত হয়ে যথাযথ আইনি ব‍্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন।