০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৩০

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত চক্র  © সংগৃহীত

রাজধানীর গুলিস্থানে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির শাহবাগ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস, দুইটি ডিবি জ্যাকেট, দুইটি ওয়াকিটকি, একটি ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, দুইটি হ্যান্ডকাফ, দুইটি খেলনা পিস্তল, দুইটি পকেট রাউটার, ছয়টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ছয়টি বাটন মোবাইল, এক্সপেন্ডেবল লাঠি ও  লেজার লাইট উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান, রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম।

গ্রেফতারকৃতরা হল  মো: দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদ (৩৫),মোঃ কামাল হাওলাদার  (৩৫), আব্দুর রহমান হাওলাদার (৩৭), মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে হাসান  (৩৮), মোঃ বাবুল হাওলাদার (৩৮), মোঃ রমিজ তালুকদার  (৩৫), জান্নাতুল ফেরদৌস (২২)। এর আগে গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার এলাকার দক্ষিণ পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডের অভিযান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মো. মাসুদ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের দক্ষিণ পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডের  সামনে  ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শাহবাগ থানার একটি চৌকস টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৪/৫ জন ডাকাত সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজার এলাকায় আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ও ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতি করতো।

রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত মোঃ দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদ এর নামে দশটি, আব্দুর রহমান হাওলাদার এর নামে তিনটি, মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে হাসান এর নামে চারটি, মোঃ বাবুল হাওলাদার এর নামে দুইটি ও  মোঃ রমিজ তালুকদার  এর নামে চারটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।