২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৫:০৩

কাস্টমসের নিলামকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন

তামাবিল কাস্টমস  © সংগৃহীত

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল কাস্টমসের জব্দকৃত পণ্যের নিলামকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও তামাবিল স্থলবন্দরের শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তামাবিল স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনও রয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল শুল্ক স্টেশনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। অভিযোগে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষের হামলায় ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন এবং হামলাকারীরা প্রায় দেড় লাখ টাকা লুটে নেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, তামাবিল শুল্ক স্টেশনে ভারতীয় জব্দকৃত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্যের নিলাম চলছিল। এ সময় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আলম শাওন, সদস্য সচিব এম শাহীন আলম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ ইলিয়াস নিলামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলেমান আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ জানান, নিলামে দুটি গ্রুপ ছিল। এক পক্ষের হয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা এবং অপরপক্ষে জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী অংশ নেয়। ছাত্রদলের নিলাম নিয়ন্ত্রণ চেষ্টার বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি একটি পক্ষের হয়ে সক্রিয় ছিলেন বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আলম শাওন বলেন, তামাবিল স্থলবন্দর এখনো আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে সেখানে প্রভাব খাটানো হয়। তিনি বলেন, আমরা নিলামে অংশ নিতে গেলে নূর উদ্দীনরা আমাদের বাধা দেয় এবং বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে আপস-মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হলে শ্রমিক নেতা মনির উদ্দীন টেবিলে থাপ্পড় মেরে উত্তেজনা ছড়ান।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও মনির উদ্দীনদের অনুসারীরাই তাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। তারা নিজেরাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান শাওন। তথ্যসূত্র : ইউএনবি