স্বামীকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৬
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার ঘটনায় তার স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে, শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত রহিম মিয়াকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন তালচানা গ্রামের আলকেসের মেয়ে ও ভুক্তভোগীর স্ত্রী আকলিমা বেগম (৪০)।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহিম এবং গ্রেপ্তারকৃত আকলিমা আক্তার স্বামী-স্ত্রী। তারা একসময় ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ভাটার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে আব্দুর রহিম নিজ এলাকায় ফিরে যান, যেখানে তার প্রথম স্ত্রী বসবাস করেন। দীর্ঘ প্রায় ছয়-সাত মাস ধরে দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। এক পর্যায়ে ফোন করে রহিমকে মির্জাপুরে আসতে বলেন।
তারা আরও জানান, রহিম আকলিমার ভাড়া বাসায় পৌঁছানোর পরপরই রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্যরা তাকে মারধর করে জিম্মি করে রাখে। পরে তারা রহিমের স্বজনদের ফোন করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটির নেতৃত্ব দিত। কিন্তু এর অন্তরালে তারা বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে কাজ যাচ্ছিল বলে অভিযোগ পাচ্ছি। এমন একটি ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।