ঘরের মাঠে প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতল পাকিস্তান
পাকিস্তান তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জিতে নিয়েছে । শনিবার (৮ নভেম্বর) ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় বাবর আজমরা।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। যদিও শুরুটা দারুণ ছিল। উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছিল ৭২ রান। কুইন্টন ডি কক ও লুহান-ড্রে প্রিটোরিয়াসের উদ্ভোধনী জুটিটি ভাঙেন সালমান। একই বোলার দুই ওভার পরে নেন টনি ডি জর্জির উইকেটে।
তবে প্রোটিয়া ইনিংসে বড় ভাঙন লাগে ২ উইকেটে ১০৬ রান তোলার পর। মাত্র ৩৭ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। এর মধ্যে ৪ উইকেটই নেন লেগ স্পিনার আবরার। ১০ ওভারে ২৭ রানে ৪ উইকেট ওয়ানডেতে তাঁর সেরা বোলিং। ২টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি আর মোহাম্মদ নেওয়াজ।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ফখর জামান শূন্য রানে ফিরলেও সাইম আর বাবর আজমের জুটি পাকিস্তানকে রেখেছে জয়ের পথেই। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন ৬৫ রানের জুটি ভাঙে বাবরের রানআউটে। সাবেক অধিনায়ক ৩২ বলে করে যান ২৭ রান।
এরপর আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়েও সাইম গড়েন ৬৫ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙে ফর্টুইনের বলে সাইমের লং অনে ক্যাচ হওয়ার মাধ্যমে। আউট হওয়ার আগে সাইম ১১ চার ও ১ ছক্কায় করে যান ৭০ বলে ৭৭ রান। জয়ের আনুষ্ঠানিকতার বাকি কাজ সারেন রিজওয়ান-সালমান। পরে সালমান আগার জয় সূচক বাউন্ডারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৪৩ রান পেরিয়ে যায় পাকিস্তান ৭ উইকেট আর ১৪৯ বল হাতে রেখেই।
বোলিংয়ের এই নৈপূণ্যেই ব্যাটসম্যানদের পথ করে দেয় সহজ জয়ের। যে জয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজও জিতল পাকিস্তান। এবারের আগে ২০০৩-০৪ ও ২০০৭-০৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল পাকিস্তানে খেলে সিরিজ জিতেছিল। দুটি সিরিজই ছিল ৫ ম্যাচের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৭.৫ ওভারে ১৪৩ (ডি কক ৫৩, প্রিটোরিয়াস ৩৯, ব্রিটজকে ১৬; আবরার ৪/২৭, শাহিন ২/১৮, সালমান ২/১৮)।
পাকিস্তান: ২৫.১ ওভারে ১৪৪/৩ (সাইম ৭৭, রিজওয়ান ৩২*, বাবর ২৭; বার্গার ১/২৯)।
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আবরার আহমেদ।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী। ম্যান অব দ্য সিরিজ: কুইন্টন ডি কক।