নাসুম ঘূর্ণিতে রিভিউ নিয়েও বাঁচলেন না কিং
ইনিংসের তৃতীয় বলেই এল বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য, এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। নাসুমের অফস্টাম্পের ফুল লেংথ ডেলিভারিটি ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি কিং। বল সোজা গিয়েই আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ারও সাড়া দেন। অবশ্য, রিভিউয়ের আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার, কিন্তু লাভ হয়নি। এতে দলীয় এক রানেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ৯ রান।
এর আগে অবশ্য, ক্যারিবিয়ানদের স্পিন ছকে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও। ছন্দে থাকা সাইফ হাসানের ব্যাট এবার কথা বলেনি। মাত্র ৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
প্রথম ম্যাচে ঝলমলে ফিফটি করা তাওহীদ হৃদয় থামেন ১২ রানে। তাকে অনুসরণ করেন নাজমুল শান্তও, দুটি চারের শটে শুরুটা আশাব্যঞ্জক হলেও, ১৫ রানে থামে তার ইনিংস।
আগের ম্যাচে অভিষিক্ত অঙ্কন আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বড় শট খেলতে গিয়েই থামেন ১৭ রানে। একই পরিণতি সৌম্য সরকারেরও। চোখে পড়ার মতো ব্যাটিং করলেও, অপ্রয়োজনীয় এক শটে সীমানার কাছেই ধরা পড়েন। ৮৯ বলের মন্থর ইনিংসে করেন ৪৫ রান, মারেন ৩ চার ও ১ ছক্কা।
এরপর দ্রুত রান বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান নাসুম। ৩৯তম ওভারের প্রথম দুই বলেই ৮ রান নেন। তবে তৃতীয় বলে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় তাকে। দলীয় ১৬৩ রানে ভাঙে সপ্তম উইকেট জুটি। সোহানকে ফেরান গুড়াকেশ মোতি। লেংথ বলটিকে সামনে এগিয়ে সজোরে হাঁকাতে চেয়েছিলেন সোহান, কিন্তু বল ঠিক মতো উঠতেই মোতি নিজেই দারুণ ক্যাচ নেন। সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২৩ রান।
সপ্তম উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে ১৬৩ রান, হাতে মাত্র ২৪ বল। সবমিলিয়ে গ্যালারিতে আর ডাগআউটে একটাই প্রশ্ন—দুই শ’ পেরোনো যাবে তো?
ঠিক তখনই আসেন রিশাদ হোসেন। এলেন, দেখলেন, আর যেন রণহুঙ্কারে খেললেন এক দুর্ধর্ষ ইনিংস। ১৪ বলে ঝোড়ো ৩৯ রান, যেখানে ছিল ৩ ছক্কা ও ৩ চার। তিনি যখন ইনিংস শেষ করলেন, বাংলাদেশের রান দাঁড়াল ৭ উইকেটে ২১৩, পরিস্থিতি বিবেচনায় যথেষ্ট লড়াকু স্কোরই।