২০ জুলাই ২০২৫, ১৯:২৩

রানআউট হয়ে ফিরলেন দুবার জীবন পাওয়া ফখর

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ  © সংগৃহীত

প্রথম ওভারেই ফিরতে পারতেন ফখর জামান। সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে তাকে জীবন দেন তাসকিন। এরপর ১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে মেহেদীর দুই হাত গলে বেরিয়ে যায় বল। ৩০ রানে দ্বিতীয়বার জীবন পাওয়া ফখর পরের বলেই মেরে দেন ছক্কা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন এই ওপেনার। তবে এবার আক্ষেপের গল্প লিখলেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখলেন। 

১২তম ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিনের থ্রো ধরে স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভাঙেন লিটন। এতে দুবার জীবন পাওয়া ফখর ফিরলেন ৩৪ বলে ৪৪ রান করে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ১২ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।

রোববার (২০ জুলাই) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন শেখ মেহেদী।

তবে মেহেদীর বলে শর্ট ফাইন লেগে ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাসকিন। অবশ্য পরের ওভারেই সেই ভুলের কিছুটা ক্ষতিপূরণ করেন এই পেসার। নিজের ওভারে সাইম আইয়ুবকে ফেরান তিনি। ডিপ ফাইন লেগে মোস্তাফিজ কোনো ভুল না করে নিখুঁত ক্যাচ ধরেন। সাইম ৪ বল খেলে করেন ৬ রান।

এরপর হারিস রউফকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন মেহেদী। তার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র এক বাউন্ডারি হাকিয়েই সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।

পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে সালমানের উইকেটটি প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন টাইগার বোলার। তবে প্রথম বলেই ভাগ্যর জোরে রক্ষা পান পাকিস্তান অধিনায়ক—তার তোলা শটটি কাভার ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারির বদলে দুই রান হয়ে যায়। এরপর চার বল ধরে ব্যাটে–বলে সংযোগই ঘটাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৯ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে উইকেট মিছিলে যোগ দেন মোস্তাফিজ। ওভারের প্রথম চার বলে মাত্র ১ রান দেওয়ার পর পঞ্চম বলেই উইকেট। স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যান অঞ্চলে রিশাদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন হাসান নেওয়াজ। চার বল খেলে রানশূন্য থাকেন তিনি।

এরপর ক্রমেই চাপ বাড়ছিল পাকিস্তান শিবিরে।অবশ্য টানা ২৬ বলে বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ পাকিস্তান পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে দলীয় ৪৬ রানে। মেহেদীর বলটা অন সাইডে ঠেলে ১ রান নিতে চেয়েছিলেন ফখর। দৌড়ে গিয়ে স্ট্রাইকিং প্রান্তে বল ছুঁড়েন মেহেদী। উইকেটকিপার লিটন যখন বেল ফেলে দেন, তখন ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি নেওয়াজ।