১৬ জুলাই ২০২৫, ২১:১৪

শেষের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ   © সংগৃহীত

শুরুতেই স্পিন আক্রমণে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, শেখ মেহেদী দারুণ ছন্দ। তার ঘূর্ণিতে টপ-অর্ডারের একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। যেন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিক ব্যাটিং লাইনআপ। তবে শেষদিকে দাসুন শানাকার অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংসে কোনো রকমে লড়াই করার মত স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।

বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা।

ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই শুরুটা করেছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ইনিংসের ৪ দশমিক ৩ ওভারেই কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা ও দীনেশ চান্দিমালের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

শরিফুলের করা ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেছিলেন কুশল মেন্ডিস। তবে শট ডিপ স্কয়ার লেগে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ বনে ৪ বলে ৬ করে ফেরেন তিনি।

পরের ওভারেই আঘাত হানেন শেখ মেহেদী। তার ঘূর্ণিতে স্লিপে তামিমকে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন কুশল পেরেরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে চান্দিমালকেও বিদায় করেন মেহেদী। তাকে মিড-অনে খেলতে গিয়ে সোজা আকাশে বল তুলে দেন। জাকের আলীর মুঠোবন্দি হয়ে ৫ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।

এরপর দলকে চাপ মুক্ত করে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা। তবে পরের ওভারে মেহেদীর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন আসালাঙ্কা। ৮ বল মোকাবিলায় মাত্র ৩ রান করতে পেরেছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক।

নিজের শেষ ওভারেও উইকেট তুলে নেন এই অফস্পিনার। ইনিংসের ১১তম ওভারে একপ্রান্ত ধরে লড়াই করতে থাকা নিশাঙ্কাকে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান মেহেদী। ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার।

এরপরও চাপ কাটিয়ে উঠার আভাস দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে টাইগার শিবিরে চাপ বাড়ানোর আগেই কামিন্দুকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শামীম হোসেন। তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ২১ রান করে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।

এরপর উইকেট মিছিলে যোগ দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফিজের করা বলটি মিড-অফে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন ভ্যান্ডারস। তবে স্লোয়ারে তানজিমের হাতে ধরা পড়েন এই ব্যাটার (১৪ বলে ৭)।

শেষদিকে টাইগার বোলারদের ওপর রীতিমত ঝড় তুলেন দাসুন শানাকা। শরিফুলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২০ রান তুলেন এই ব্যাটার। তার ২ ছক্কা আর ৪ চারে ২৫ বলে ৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শেখ মেহেদী। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় মোস্তাফিজের শিকার একটি উইকেট।