২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৩৫ বিডিআর সদস্য

মুক্তি পাওয়া সাবেক বিডিআর সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন স্বজনরা  © সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিডিআরের সাবেক ৩৫ সদস্য। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তারা পর্যায়ক্রমে কারাগার থেকে বের হন। এ সময় কারাফটকের সামনে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৫৩ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১ জন, কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ২ জন এবং পার্ট-২ থেকে ৩২ জন রয়েছেন। 

কারাগার সূত্রে জানা যায়, জামিনের কাগজপত্র সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। 

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেৃল সুপার আল মামুন বলেন, আমাদের কারাগার-২ থেকে আজ ৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিদ্রোহের ঘটনায় পরদিন ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন।