১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৬

দূতাবাসে যাওয়ার আগেই বাধার মুখে ঐক্যবদ্ধ মোর্চা জুলাই ঐক্য, বসে পড়ল আন্দোলনকারীরা

উত্তর বাড্ডায় হোসেন মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলকারীরা  © টিডিসি ফটো

শেখ হাসিনাসহ সব খুনিদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি শুরুর পর, বাড্ডা লিঙ্ক রোড এলাকায় বাধার মুখে পড়ে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা জুলাই ঐক্য। পরে বাধা অতিক্রম করে উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে সমাবেশ করছে  জুলাই ঐক্য। 

এতে জুলাই ঐক্যের সংগঠকসহ দেশপ্রেমিক বাংলাদেশপন্থি সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি অংশ, ডাকসু ও জাকসুর একাধিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। 

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হোসেন মার্কেটের সামনে সমাবেশ করছে জুলাই ঐক্য। 

জানা গেছে, জুলাই ঐক্যের ডাকে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ মিছিলটি নিয়ে বিক্ষুব্ধরা ভারতীয় দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর পুলিশি বাধার  মুখে পড়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা সাধারণ জনতাকে উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে বসে পড়ে এবং সমাবেশ শুরু করে।

এদিকে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রামপুরা থেকে ভারতীয় দূতাবাস পর্যন্ত পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা বলই তৈরি করেছে। বাড্ডা গুলশান লিঙ্ক রোড ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ বন্ধ করে দিলেও তা অতিক্রম করা হয় এবং নতুন বাজার ও এর আশপাশ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।   

আরও পড়ুন : ওসমান হাদীকে গুলির আগের রাতে বান্ধবীকে যা বলেছিলেন ফয়সাল

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়েরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। সংগঠনটি জানায়, আগামীকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে। এতে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশপন্থি সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি অংশ, ডাকসু ও জাকসুর একাধিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেবেন। কর্মসূচির সার্বিক নেতৃত্বে থাকবেন জুলাই ঐক্যের সংগঠকেরা।

জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারতের প্রক্সি শক্তিগুলো নতুন করে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের ভারত আশ্রয় দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সংগঠনটি।

তাদের দাবি, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জুলাই আন্দোলনের এক মুখ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ভারতীয়দের একাংশ আনন্দ-উল্লাস করেছে। এসব ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে তারা জানায়, বাংলাদেশ ২.০-তে কোনো আধিপত্যবাদ আমরা মেনে নেব না।

‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি থেকে ভারত সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিও আলটিমেটাম দেওয়া হবে বলে জানায় জুলাই ঐক্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুনিদের ফেরত না দিলে পরবর্তী পরিস্থিতির দায় দিল্লি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

জুলাই ঐক্য আরও জানায়, ভারত ও তার প্রক্সি শক্তিগুলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায় না বলেই একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ প্রেক্ষাপটে চব্বিশের ছাত্র-জনতাকে আবারও দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।