২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৩২

নাফ নদী থেকে নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

অপহৃতরা  © টিডিসি

নাফ নদীর মোহনায় মাছ শিকারে যাওয়া কক্সবাজারের টেকনাফের একটি নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, এই অপহরণের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে। 

অপহৃতরা হলেন, নুর কালাম, শফি আলম, আবুল কালাম ও নৌকার মালিক আব্দুর রহমান।  তারা সবাই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা। 

ঘটনাটি স্বীকার করে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া নৌঘাটের সভাপতি আবদুল গণি বলেন, আব্দুর রহমান তার নিজের নৌকায় চার মাঝিমাল্লাকে নিয়ে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায়। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ২২ দিন মাছ শিকার বন্ধ খোলার একদিনের মাথায় এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। 
 
এ বিষয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, আমার এলাকার একটি নৌকাসহ চার মাঝিমাল্লাকে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে জেনেছি।  বিষয় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করা হয়েছে। 

এদিকে মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক সোমবার বিকেলে অবৈধভাবে আরাকানের জলসীমায় প্রবেশ করার অভিযোগে বাংলাদেশি চার মাঝিমাল্লাকে আটক করার খবর প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, একটি নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করছে।

বিজিবি বলছে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২৩ আগস্ট মাস পর্যন্ত অপহৃত হন ২০০ জন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১০০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে রয়েছে। যার ফলে অনেক জেলে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছে।