গলাচিপায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

পটুয়াখালীর গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরখালি গ্রামে রিপা আশামনি (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহটি গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

জানা যায়, রিপা স্থানীয় বিপিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা মিজানুর পহল্লান একজন কৃষক। পরিবারের দাবি, মেয়েটি মানসিক সমস্যায় ভুগছিল এবং নিজেই আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিপা মানসিক সমস্যায় ভুগছিল গত কয়েকমাস ধরে। বিভিন্ন সময় অস্বাভাবিক আচরণ করত। তাই পরিবার ও স্বজনরা ধারণা করছেন নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বাবা মিজানুর পহল্লান বলেন, দুপুরে আমি ক্ষেতে ধানের বীজ রোপণ করতে যাই। এসময় বাড়িতে ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী ও অসুস্থ বাবা ছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে শুনি আশামনিকে পাওয়া যাচ্ছে না। খুঁজতে গিয়ে ঘরের উপরের সিঁড়ির কাছে তার জুতা দেখি। উপরে গিয়ে দেখি, সিলিংয়ের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে ওড়না কেটে নিচে নামাই। এসময় আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা দ্রুত আশামনিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মা আকলিমা আক্তার বলেন, কয়েক মাস ধরে আশামনির মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকত। এমনকি গাছে উঠে বসে থাকত। বৃহস্পতিবার বিকেলে আছরের নামাজের পর খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঘরে এসে উপরের সিঁড়ির কাছে জুতা দেখতে পাই। আমার বোনের মেয়ে ইতি আর পুত্র বঁধুকে উপরে ওঠে খুজতে বললে তারা সিড়ি দিয়ে উঠে দেখে আশামনি ঝুলে আছে।

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মো. নাঈমুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। গলায় দাগ ছিল। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে না।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমরা অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছি।