গণঅভ্যুত্থান দিবসের র্যালিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাগনভূঞা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে একটি র্যালি বের করেন। র্যালিটি চৌমুহনী রোড থেকে দাগনভূঞা পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে সেখানে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল ও সরোয়ার, বেলাল, সিফাত, মিলনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, বিজয় র্যালিতে হামলার ঘটনা ষড়যন্ত্রের অংশ। বিএনপিকে সাধারণ মানুষের কাছে বিতর্কিত করতে ও আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সাধারণ নেতাকর্মীদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, আবুল হাশেম বাহাদুর ও ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃত ফটিক সরাসরি অংশ নেন। আমরা বিশৃঙ্খলা এড়াতে হামলার প্রতিবাদ না করে ফিরে এসেছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে দাগনভূঞা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিরোপয়েন্টে রক্তদান কর্মসূচি পালন করছিলাম। তারা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন। তখন আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। আমাদের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ সত্য নয়। বরং তাদের হামলায় আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, বিএনপির বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দাগনভূঞা থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক তা নিভৃত করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।