০৭ জুলাই ২০২৫, ২০:০৫

টিউশনকালে ছাত্রীকে একা পেয়ে যৌন হয়রানি শিক্ষকের!

অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  © টিডিসি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মোহাম্মদ মান্নান খান উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মো. সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে তারা সোমবার (৭ জুলাই) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে।

জানা গেছে, গত ১ জুলাই শিক্ষক সাইদুজ্জামান দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় একা পেয়ে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এক ছাত্রী বলে, ‘১ জুলাই আমরা কয়েকজন শিক্ষক সাইদুজ্জামানের কাছে গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে বিদ্যালয়ে যাই। তিনি আমাদের অঙ্ক করান। এরপর আমিসহ কয়েকজন চলে আসি। আমাদের এক বান্ধবী একটু পেছনে থাকায় তাকে একা পেয়ে শিক্ষক সাইদুজ্জামান যৌন হয়রানি করেন।’

আরেক ছাত্রী অভিযোগ করে, ‘গণিত ক্লাসে সাইদুজ্জামান প্রায়ই আমাদের গায়ে হাত দেন। তাকে একাধিকবার নিষেধ করার পরও তিনি শোনেননি।  আমরা লজ্জায় কাউকে বলতেও পারিনি। একইভাবে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার মিয়াও কারণে-অকারণে আমাদের গায়ে হাত দেন।’

আরও পড়ুন: কুয়েট-বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি নিয়োগের শর্টলিস্টে ৮ অধ্যাপক, ডাকছে মন্ত্রণালয়

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আমি মৌখিকভাবে তাকে ছুটি দিয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ তবে তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুজ্জামান বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক সাইদুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার মিয়ার বিরুদ্ধেও ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ থাকায় তাকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা অধিকতর তদন্ত করে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’