যশোরে শিশু বলাৎকারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
শিশু বলাৎকারের (ধর্ষণ) দায়ে কমল কুমার কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। সোমবার (৩০ জুন) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) ডক্টর আতোয়ার রহমান এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।সাজাপ্রাপ্ত কমল কুমার কর্মকার শহরের ষষ্টিতলা বুনোপাড়ার মৃত ফটিক চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শহরের ষষ্টিতলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত ওই শিশুর পরিবার। সে শহরের ইনস্টিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনীতে পড়ত। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিশু খেলা করার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে শিশুটি বাড়ি ফিরে জানায়, কমল তাকে বল দেয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে বলাৎকার (ধর্ষণ) করেছে। গুরুতর অসুস্থ শিশুকে স্বজনেরা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে কমল কুমার কর্মকারকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে আটক কমল কুমারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক কমল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা বলেন, দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি কমল কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত কমল কুমার কর্মকার কারাগারে আটক রয়েছে।