সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলে আসন কমল
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ৮০০ এর বেশি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো মেডিকেলের আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম সভাপতিত্ব করেন। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এ সভা রাত সাড়ে ৭টায় শেষ হয়। তবে পুরো সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা উপস্থিত না থাকায় সভার রেজ্যুলেশন চূড়ান্ত করা যায়নি। আগামীকাল সোমবার অথবা আগামী বুধবার বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হতে পারে।
সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মানহীন এবং সক্ষমতা নেই এমন বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজের আসন কমানো হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি মেডিকেলে ৪০৮টি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৪০৮টি আসন কমানো হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮১৬টি আসন কমেছে। এই সংখ্যা আরও কমতে কিংবা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি আবেদনে জিপিএ নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি আবেদনে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে জিপিএ-৮.৫ পেতে হবে। তবে এসএসসি এবং এইচএসসিতে পৃথকভাবে একজন শিক্ষার্থীকে জিপিএ-৪ করে পেতে হবে। এছাড়া জীববিজ্ঞানে জিপিএ-৩.৫ পেতে হবে।
সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। এজন্য গত শিক্ষাবর্ষে মোট ১৫০ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছিল। এর মধ্যে এমসিকিউতে ১০০ এবং জিপিএর ওপর ছিল ৫০ নম্বর। তবে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে জিপিএ নম্বর পূর্বের ন্যায় ১০০ করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এবার একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে যে জিপিএ পেয়েছেন সেটিকে ৮ দিয়ে গুণ করা হবে। আর এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএকে ১২ দিয়ে গুণ করা হবে। গত শিক্ষাবর্ষে এসএসসির জিপিএ ৪ গুণ এবং এইচএসসির জিপিএ ৬ দিয়ে গুণ করে নম্বর দেওয়া হয়েছিল।