২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১৯

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কমতে পারে রসায়ন-পদার্থের নম্বর, যোগ হবে সাধারণ জ্ঞানে

ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় রসায়ন এবং পদার্থ বিজ্ঞানের নম্বর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই নম্বর সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলিতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় ভর্তি কমিটির সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা একইদিনে একই প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার নম্বর বন্টন পরিবর্তনে দুটি প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি প্রস্তাবে রসায়নে ৫ নম্বর কমিয়ে ২০, পদার্থ বিজ্ঞানে ৫ নম্বর কমিয়ে ১৫ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই দুটি বিষয় থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে ওই নম্বর সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলিতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এ প্রস্তাবে সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলি বিষয়ে ২০ নম্বর করার কথা বলা হয়েছে। রসায়ন এবং ইংরেজিতে আগের মতোই ৩০ এবং ১৫ থাকবে।

নম্বর বন্টন পরিবর্তনের আরেকটি প্রস্তাবে কেবলমাত্র পদার্থ বিজ্ঞান বিষয় থেকে ৫ নম্বর কমিয়ে সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলিতে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এই প্রস্তাবে সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলিতে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এছাড়া জীববিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিতে আগের মতোই যথাক্রমে ৩০, ২৫ এবং ১৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘রসায়ন এবং পদার্থ বিজ্ঞান থেকে ৫ নম্বর করে অথবা কেবল পদার্থ বিজ্ঞান থেকে ৫ নম্বর কমিয়ে তা সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলিতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমাদের একটি সভা রয়েছে। ওই সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’

ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক গুণাবলি অংশ যুক্ত করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এতদিন শুধুমাত্র প্রার্থীর মেধা যাচাইয়ের মধ্যে স্মরণশক্তি এবং মুখস্তবিদ্যা প্রাধান্য পেত। আমরা চিন্তা করছি ধীরে ধীরে আরেকটু বৈচিত্র্য নিয়ে আসার। বিশেষ করে একজন প্রার্থীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা এবং তার মানবিকতা যাচাই করতে চাই। আমরা চাই একজন চিকিৎসক মানবিক হোক। এসব বিষয় যাচাই করার জন্য অল্প কিছু প্রশ্নের ধরন আমরা বদলাব। তবে প্যাটার্ন একই থাকবে, এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হবে। কিন্তু বিষয়ের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে।’

তিনি আরও বলেন,  ‘এ জন্য আমরা শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। আর এ বছরেই বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না। ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করব। ক্রমান্বয়ে দুই-তিন বছরে যেন বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও মানবিকতার বিষয়গুলো প্রশ্নপত্রের বড় অংশ হয়। এক্ষেত্রে এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার মতো প্রশ্ন প্রণয়নের ব্যাপার আছে। এটা কিভাবে সন্নিবিষ্ট করা যায়, তা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসছি। অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে মন্ত্রণালয়ের সভায় এটি চূড়ান্ত হতে পারে।’