চাকরির তিন বছর পূর্তিতে ট্রিট, বোনসহ পুড়ে মারা গেলেন স্টামফোর্ডের সাবেক ছাত্রী দোলা

আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছে মেহরান কবির দোলা এবং তার ছোট বোন মাইশা কবির মাহি।
আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছে মেহরান কবির দোলা এবং তার ছোট বোন মাইশা কবির মাহি।  © সৌ

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন। এ ঘটনায় দগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে একজন বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা মেহরান কবির দোলা এবং তার ছোট বোন মাইশা কবির মাহি।

দোলা স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। দোলার বোন মাহি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। রাজধানীর এজিবি কলোনিতে থাকতেন তারা।

আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, দগ্ধরা শঙ্কামুক্ত নন

দোলার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার পরিচিতজন হাসান বাপ্পি বলেন, যতদূর জানি বোনকে নিয়ে ভবনটির কোনো একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন দোলা আপু। সেখানে আগুন লাগলে আটকা পড়ে বোনসহ মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

দোলা প্রসঙ্গে বাপ্পি আরও বলেন, খুব হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন আপু। এত ভালো মনের মিশুক মানুষ খুব কম দেখেছি। তার স্বামী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে আছেন। এত দ্রুত আর এভাবে আপু চলে যাবেন এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি।

দোলার মৃত্যু প্রসঙ্গে বাপ্পি বলেন, আজকে দোলা আপু চাকরির তিন বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ওই ভবনের রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। উদ্‌যাপন যে নিমেষেই বেদনায় নিল হবে কে জানত।

আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে মারা গেছেন বুয়েটের দুই শিক্ষার্থী

বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। ওই ভবনটিতে পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও ছিল একই ভবনে।


সর্বশেষ সংবাদ