আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ, নাম জড়াল ছাত্রদল নেতার
- জবি কন্ট্রিবিউটর
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৫ AM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:২২ AM

ঢাকার সদরঘাট বাস টার্মিনালে আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের উপস্থিতিতে আজমেরী গ্লোরী কোম্পানির পরিচালক রবিউল ইসলাম পরাগকে মারধর করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় আজমেরী বাস থেকে চাঁদা তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আজমেরী গ্লোরী কোম্পানির পরিচালক রবিউল ইসলাম পরাগ অভিযোগ করে বলেন, ‘আজমেরী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড ও গ্লোরী এক্সক্লুসিভ লিমিটেড যৌথভাবে আমাদের আজমেরী গ্লোরী কোম্পানি পরিচালনা করে। আমরা সরকারিভাবে নিবন্ধিত। কিন্তু আজমেরী বাস মালিক সমিতি নামে একটি অবৈধ সংগঠন খুলে আমাদের ব্যবসা দখল করতে চায়। মালিকানাধীন কোম্পানির আবার সমিতি হয় কীভাবে? আজ আমরা রোডের আজমেরী বাস থেকে অনুমোদিত টাকা নেওয়ার সময় কয়েকজন এসে আমাদের বাসের স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশ জানায়, তারা বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছে। আমরা বাস মালিকরা পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করা গোলাম জিলানী টিপু এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সর্দার আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। আমাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখে। অথচ তারা বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। আমাদের মালিকানাধীন কোম্পানি তারা সমিতি খুলে দখল নিতে চায়।"
বাস থেকে তোলা চাঁদার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পরাগ বলেন, ‘আজমেরী গ্লোরী রোডে চালানোর জন্য আমাদের কোম্পানির অনেক স্টাফ আছে, যাদের বেতন দিতে হয়। এজন্য সব বাসের মালিক মিলে রেজুলেশন করে প্রতিদিন আজমেরী বাসপ্রতি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। আমার বাস চালাতেও চাঁদা দিতে হয়।’
অন্যদিকে, আজমেরী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম জিলানী টিপু বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমাদের এই বাস মালিক সমিতি ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সময় আমাদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের বাস চলেনি। আওয়ামী লীগ পতনের পর আমরা বাস মালিক সমিতি পুনর্গঠন করেছি। আমাদের বৈধ কাগজপত্র আছে। আজ যখন আমরা বাসের টাকা তুলছিলাম, ওই গ্রুপ টাকা দাবি করে। এরপর আমরা বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করি। পরাগ নামে একজনকে আটকও করা হয়। আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে মারধরের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সর্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। তবে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। ঘটনার সাথে জড়িত নই।’
বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আল আমিন বলেন, ‘টিপু নামে আজমেরীর একজন আমাদের কাছে অভিযোগ করেন যে আজমেরী বাস নিয়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। তখন আমরা গিয়ে বিশৃঙ্খলা পাইনি। দুই পক্ষ ফাঁড়িতে এসে তাদের কাগজ দেখিয়েছে। তবে কোনো হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।’