কাজের মাধ্যমে মূল্যায়িত হতে চাই: পিএসসি চেয়ারম্যান
২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন। যোগদানের পর থেকেই বিসিএস পরীক্ষার জট কাটাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। পিএসসি চেয়ারম্যানের নানামুখী তৎপরতার কারণে বিসিএসের জট খুলতে শুরু করলেও এখনও বাকি অনেকটা পথ। নিজের পরিকল্পনা, পিএসসিতে অর্জিত সফলতাসহ নানা বিষয় সম্প্রতি তাঁর মুখোমুখি হয়েছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার শিহাব উদ্দিন। নিচে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশটুকু তুলে ধরা হলো-
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। কোন দায়িত্বটি বেশি উপভোগ করছেন?
সোহরাব হোসাইন: আমার কাছে সব দায়িত্ব সমান গুরুত্বপূর্ণ। যখন যে দায়িত্ব পেয়েছি তা সঠিকভাবে এবং নিজের সবটুকু দিয়ে পালনের চেষ্টা করেছি। দায়িত্ব কতটুকু পালন করতে পেরেছি তা সরকার এবং সাধারণ মানুষ ভালো মূল্যায়ন করতে পারবেন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগে। এর ফলে অনেকেই বিসিএসে আগ্রহ হারাচ্ছেন। বিসিএসের আবেদন সংখ্যা কমা কি সেদিকেই ইঙ্গিত করে?
সোহরাব হোসাইন: তরুণরা বিসিএসের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন এটি সঠিক না। সিংহভাগ তরুণের প্রথম পছন্দ বিসিএস। আবেদন সংখ্যা নানা কারণে কম হতে পারে। এর মধ্যে করোনার ধাক্কা অন্যতম। এছাড়া আগে দুই বছর পর পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হত। এখন প্রতি বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কারণে আবেদন সংখ্যা কিছুটা কম। তবে এর ফলে বিসিএসের জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কম হয়নি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে সচারচর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে দেখা যায় না। এর কারণ কী?
সোহরাব হোসাইন: আমি নিজের ঢাক-ঢোল নিজে পেটাতে চাই না। আড়ালে থেকে কাজ করে যেতে চাই। আমার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সরকার এবং চাকরিপ্রার্থী সকলেই উপকৃত হবেন। গণমাধ্যমে এসে নিজের প্রশংসা করার চেয়ে কাজ করে জাতির উপকার করতে পারলেই আমি খুশি। আমি কাজের মাধ্যমে মূল্যায়িত হতে চাই।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ৪০তম বিসিএসের বিধি জটিলতা কাটছে না কেন?
সোহরাব হোসাইন: এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। বিধি সংশোধনের বিষয়ে পিএসসি তার মতামত দিয়েছে। এখন অবশিষ্ট কাজ মন্ত্রণালয়ের। কেন বিধি সংশোধন হচ্ছে না বা কবে আইনের প্রজ্ঞাপন হবে সে বিষয়ে আমরা সব সময় খোঁজ খবর রাখছি। তবে আপনাদের মতো আমরাও কোনো খবর পাচ্ছি না। চাকরিপ্রার্থীদের হতাশ না হয়ে আর কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে। আশা করছি খুব শিগগিরই বিধি সংশোধন হয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ করা হতে পারে?
সোহরাব হোসাইন: ৪৩তম বিসিএসের বেশ কিছু খাতায় দুই পরীক্ষকের নম্বরের পার্থক্য ২০ শতাংশের বেশি। নিয়ম অনুযায়ী এই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। আশা করছি আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারবো।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ করা হবে?
সোহরাব হোসাইন: ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হবে না। আমরা নির্ভুলভাবে ফল প্রকাশের চেষ্টা করছি। আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারবো।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
সোহরাব হোসাইন: আপনাকেও ধন্যবাদ।