শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানালেন চবি ভিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ AM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ AM
আত্মনির্ভরশীল, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যে ঐক্য নিয়ে ১৯৭১ সালে আমরা বাংলাদেশিরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, একটি রাজনৈতিক দল সে অর্জনকে লুটপাট ও অত্যাচার চালিয়ে ম্লান করে দিয়েছে। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকার একই কায়দায় দুর্নীতি, অর্থ পাচার, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দেশের সাধারণ মানুষের কণ্ঠ রোধ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কারের অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এ সুযোগ আমাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। আজকের এ মহান বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের এক অনন্য মাইলফলক। এ দিন আমাদের ত্যাগ, সাহস ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিজয় দিবসের তাৎপর্য আমাদের কাছে বহুমাত্রিক।
এদিন সকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, অনুষদসমূহের ডিন, রেজিস্ট্রার ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) এর পর চবি স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, অফিসার সমিতির নেতৃবৃন্দ, চবি ক্লাব (ক্যাম্পাস), সমন্বয় কর্মকর্তা বিএনসিসি, চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, চবি, উস প্রাইমারি অ্যান্ড হাই স্কুল, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সমিতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন চবি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা এবং পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন চবি শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা পিংকি।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ বছরের বিজয় দিবসে জুলাই বিপ্লব স্মরণে প্রত্যেকেই লাল ব্যাচ পরিধান করেন।