ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব দেখতে সমুদ্রে পর্যটকের ভিড়

ঘূর্ণিঝড় রেমাল
ঘূর্ণিঝড় রেমাল  © টিডিসি ছবি

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেও সমুদ্রের তাণ্ডব উপভোগ করতে সৈকতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। কলাতলী, লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকসহ স্থানীয়দের অবস্থান লক্ষ‍্য করা গেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুপুর থেকে উপকূলে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো বা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দমকা বাতাস। কিন্তু সমুদ্রের স্বরূপ দেখতে সৈকতে বেশকিছু পর্যটক অবস্থান করছে। যদিও ট‍্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।

এদিকে গতকাল রাত থেকে সতর্কবার্তা প্রচার চলমান রেখেছে জেলা প্রশাসনসহ সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তবে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ইতোমধ্যে ৯ নম্বর মাহবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রেমালের কারণে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৬ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদ সংকেত দেখাতে বলায় সমুদ্রের বালিয়াড়িতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। আর এ দৃশ্য দেখতে সকালে সাগরপাড়ে ভিড় করেছে পর্যটকরা।

সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তাই সাগর উত্তাল রয়েছে। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। লাল পতাকা মানেই সতর্ক করা, যাতে কেউ সমুদ্রস্নানে না নামে। আমরা কাউকে সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামতে দিচ্ছি না।

এদিকে, সমুদ্রের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও শুঁটকি মহাল। সমিতি পাড়া বাজার থেকে কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, মোস্তাক পাড়া, বাসিন্না পাড়ার নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে লোকজন। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কক্সবাজারে। যার কারণে লোকালয়ে চলে আসছে জোয়ারের পানি।

 

সর্বশেষ সংবাদ