ঢাবি ছাত্রদল

পদের রাজনীতিতে ভাগ্যবান ওরা

ওপরে বাম থেকে কামাল, মশিউর, এনায়েত, সাবিত; নীচে বাম থেকে খোকন, মুরাদ ও নিপু।
ওপরে বাম থেকে কামাল, মশিউর, এনায়েত, সাবিত; নীচে বাম থেকে খোকন, মুরাদ ও নিপু।  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় না থেকেও বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কমিটিতে পদ পেয়েছেন ২৯ জন। আর পদ পাওয়ার পর সংগঠনে অনিয়মিত হয়েছেন ২৭ জন। কমিটিতে পদ পাওয়াদের মধ্যে বর্তমানে ব্যবসা ও চাকরি করছেন চারজন। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য গেছেন তিনজন ও বিয়ে করেছেন দুইজন। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নিজেদের গ্রুপ ভারী করতে নিষ্ক্রিয়দের পদ দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। একই সঙ্গে নিয়মিত কমিটি না হওয়ায় রাজনীতি বিমুখ হচ্ছেন অনেকেই। হতাশ হয়ে অনেকেই ব্যবসা ও চাকরিতে যুক্ত হচ্ছেন।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সংসদ। ওই কমিটিতে পদবঞ্চিত হন বেশ কিছু নেতাকর্মী। পরে কমিটি বর্ধিত করে ৩২ জনকে পদ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সদস্য সচিব মো. আমানুল্লাহ আমান। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সংখ্যা ১২৩ জন।

এদিকে ছাত্রদের ১২টি হলে বিভিন্ন পদে আছেন ৪২ জন। মেয়াদের নির্ধারিত সময় পার করলেও হলগুলোতে এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারে নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের কমিটি ঘোষণা করা হলেও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ওই কমিটি পরে স্থগিত করা হয়েছে। কর্মী সঙ্কটের কারণে ছাত্রী হলগুলোতে কমিটি নেই ছাত্রদলের।

আরও পড়ুন- ভাড়া বিতর্কে ছাত্রকে মারধর, প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ

ছাত্রদলের রাজনীতি গ্রুপ ভিত্তিক পরিচালিত হয়। পদ প্রাপ্তদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে কর্মসূচিতে সক্রিয় না থাকলেও গ্রুপের আড্ডায় নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কমিটি মিলিয়ে ১৬৫ জন পদ প্রাপ্ত নেতা থাকলেও কর্মসূচি বা মধুর ক্যান্টিনের আড্ডায় উপস্থিত থাকেন মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন। সম্প্রতি নতুন কমিটির গুঞ্জনে সেই সংখ্যা ৪০-৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের এমন উপস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ নেতাও।

সক্রিয় না থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে পদ পেয়েছেন যারা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল পাশা। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কখনোই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন তাকে পদায়ন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক ওলিউর রহমান জনি একসময় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় থাকলেও ২০১৮ সালে এসে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। পরে কেন্দ্রীয় সভাপতির হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পান। যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঙ্গে রাজনীতি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পাওয়ার আগে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন পদ পাওয়ার আগে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। বর্তমানেও তিনি অনয়িমিত। ফজলুল হক মুসলিম হলের সাবেক এই নেতা সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসানের সঙ্গে রাজনীতি করেন। পদ পাওয়ার আগে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মো. রাসেল। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের এই নেতা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসানের অনুসারী। তার পদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক রয়েছে। রাসেলের সহপাঠীরা কমিটিতে সদস্য পদ পেলেও তিনি যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান।

বর্ধিত কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান সাবিত হাসনাইন। তার বাবা চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। সে সুবাদে কমিটিতে পদ পান তিনি। ডাকসু নির্বাচনেও অংশ নেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে বরাবরই তিনি নিষ্ক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব তাকে পদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজনীতি সক্রিয় না থেকেও যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। বর্তমানেও তিনি নিষ্ক্রিয় বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। এর আগে হল কমিটিতে পদে না থাকলেও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যামলের হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পান এনায়েত উল্লাহ শরীফ। পদ পাওয়ার পরও তিনি নিষ্ক্রিয় বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন- আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নিল সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যদের মধ্যে পদ পাওয়ার আগে নিষ্ক্রিয় ছিলেন ফেরদৌস আলম। এরশাদ মাহমুদ বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন সৌরভ একুশে হলের পদপ্রার্থী ছিলেন। বিবাহের অভিযোগে তিনি বাদ পড়লেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে বহাল তবিয়তেই আছেন। মনিরুজ্জামান মনির রাজনীতিতে কখনোই সক্রিয় না থাকলেও সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আসাদের হাত ধরে তিনি ডাকসুতে ক্রীড়া সম্পাদকের নির্বাচন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে সদস্য পদ পেলেও বর্তমানে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আগে নিষ্ক্রিয় থাকলেও বর্তমানে সক্রিয় নাকিবুল ইসলাম চৌধুরী।

পদ পাওয়ার পর নিষ্ক্রিয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এখন নিষ্ক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায় না। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিপন বিশ্বাস বর্তমানে নিষ্ক্রিয় আছেন। তিনি ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। সিনিয়র সহ সভাপতি শ্রাবণের অনুসারী হিসেবে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পাওয়া লিটন এ আর খান বর্তমানে ব্যবসায় করছেন। সূর্যসেন হলের আনোয়ার হোসেন যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকে সংগঠনে অনিয়মিত। তিনি কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের অনুসারী। সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আল মেহেদী তালুকদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন মহব্বত আলী জয়। বর্তমানে তিনি সংগঠনে অনিয়মিত। পদ পাওয়ার পর নিষ্ক্রিয় হয়েছেন আরিফুল ইসলাম আরিফ। যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাসান বিয়ে করেছেন। তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও কমিটিতে তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।

গত ডাকসু নির্বাচনের সময়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন মাহতাব আহমেদ জিয়ান। পদ পাওয়ার পর তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এক সময়ে বেশ সক্রিয় থাকলেও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং সদস্য রোমান পাঠান বর্তমানে রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমানের অনুসারী কাইয়ুম-উল-হাসান পদ পাওয়ার থেকে নিষ্ক্রিয় আছেন। হাবীব আল রাকিব পদ পাওয়ার পর থেকে নিষ্ক্রিয়। শাওন ইকবাল পদ পাওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে আর সক্রিয় নন। পদ পাওয়ার পর অনিয়মিত হয়েছেন মওদূদ আহমেদ মইন, হাবিবুর রহমান আসিফ, মাহমুদুল হক মুন্না, মেরাজ হোসেন মিরাজ ও মো. রাসেল মিয়া (জহু হল)। সদস্যদের মধ্যে মো. আশরাফুল বিদেশি সংস্থা ইউএনডিপিতে চাকরি করছেন। ইউনুস পিটু বেসরকারি একটি কোম্পানীতে চাকরি করছেন।

হল কমিটি

গত হল সংসদ নির্বাচনে সংগঠনের পক্ষে নির্বাচন করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদউল্লাহ নীরব। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যামলের অনুসারী এই নেতা বর্তমানেও রাজনীতিতে সক্রিয় নন। একই হলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফারহান খান বর্তমান উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য নেদারল্যান্ডসে অবস্থান করছেন।

ডাকসু নির্বাচনের সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন বিজয় একাত্তর হলের তানভীর আজাদী সাকিব। পরে তিনি হলের যুগ্ম সম্পাদকের পদ পান। একই হলের যুগ্ম সম্পাদক আকিব জাভেদ রাফি বর্তমানে নিষ্ক্রিয়।

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সহ সভাপতি আ হ ম খোকন ছাত্রদলের রাজনীতিতে কখনোই সক্রিয় ছিলেন না বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। পদ পাওয়ার পরও তিনি কর্মসূচিগুলোতে নিয়মিত নন। এই হলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক। পদ পাওয়ার থেকে তিনি নিষ্ক্রিয়।

আরও পড়ুন- ঢাবি ছাত্র জাবেরের মরদেহ ভেসে উঠলো শীতলক্ষ্যায়

স্যার এ এফ রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ সাদ্দাম। ডাকসু নির্বাচনের সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। রাজনীতিতে সক্রিয় না থেকেও পদ পান প্রচার সম্পাদক হাসিবুল হাসান রাসেল। রাজনীতিতে খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না সূর্যসেন হলের সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান চৌধুরী।

কবি জসীম উদদীন হলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাকের আহম্মেদ সোহান ও যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম সক্রিয় না থেকেও পদ পান। বর্তমানেও তারা দুইজনই নিষ্ক্রিয়।

শহীদুল্লাহ হলের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ আগে সক্রিয় থাকলেও এখন বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্ক্রিয়।

পদ পাওয়ার পর থেকে সক্রিয় এফ এইচ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন। রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না সহ সভাপতি আব্দুল মোতালেব হোসেন খান ও যুগ্ম সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম। এই হলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মুরাদকে নেতাকর্মীরা চেনেন না বলে অভিযোগ আছে।

পদ পাওয়ার পর থেকে সক্রিয় একুশে হলের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাপ্পী। এই হলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলফি লাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান নিপু। পদ পাওয়ার আগেও এই দুই নেতা রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সহ সভাপতি মাহমুদ কাজল পদ পাওয়ার পর সক্রিয় হন। একই হলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান রাসেল পদ পাওয়ার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। যুগ্ম সম্পাদক মো. রায়হানুল ইসলাম বাবু পদ পাওয়ার আগেও নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

আরও পড়ুন- জেল খেটে এসে অফিসে ‘অসুস্থতার ছুটি’ আবেদন, নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা

হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের সহ সভাপতি কাওসার আহমেদ আশিক পদ পাওয়ার পর থেকে নিষ্ক্রিয়। যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফ কাদের রুবাব উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। এই হলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফ বর্তমানে কোচিং ব্যবসা করছেন টাঙ্গাইলে। পছন্দ মতো পদ না পেয়ে কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান।

আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বক্তব্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ৯১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করার সময় কমিটিতে পদ প্রাপ্তদের বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। পরবর্তীতে মধুর ক্যান্টিনে ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দেখেছি কমিটিতে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে সেটি সংখ্যার দিক থেকে খুবই কম। এছাড়া কমিটিতে নিষ্ক্রিয় সদস্যের সংখ্যাও বেশি না। আমরা কর্মসূচি পালনের সময় কোনো ধরনের সমস্যায় পড়ি নি। ঢাবি ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ ২০/২৫ জন নেতাকর্মীকে অংশ নিতে দেখা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব নেতাকর্মী সব কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন না। হলগুলোতে নেতাকর্মীরা থাকতে পারেন না। তাদের অনেকের বাসা দূরে। এছাড়া ক্লাস-পরীক্ষার কারণে সবাই সব কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন না।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, কমিটিতে কয়েকজন অনিয়মিত আছেন। তাদের কাউকে আমি নিষ্ক্রিয় বলবো না। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কিছু কারণ দেখিয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান হলে পুনরায় তারা নিয়মিত হবে বলে জানিয়েছে। যদি তারা এরপরও না আসে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পথচলা মসৃণ নয়। অনেক নেতাকর্মীকে নিয়মিত কোর্টে যেতে হয়। ক্লাস-পরীক্ষা আছে। যার কারণে কর্মসূচি বা মধুর ক্যান্টিনে সবাই আসতে পারেন না। তবে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ছাত্রদল ক্যাম্পাসে এখন বেশি সুসংগঠিত। হলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি মার্চের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সংসদ ও হলের নেতাদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে আমরা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করবো।

এসব বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে কল দিলেও রিসিভ করেন নি তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ