শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং যে ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাথা

  © টিডিসি সম্পাদিত

সম্প্রতি, সিরিয়ায় স্বৈরাচার বাশার আল আসাদের বিরোধী গ্রুপগুলোকে সমর্থন দিয়েছিল ইসরায়েল। আবার মুক্তিকামী বিরোধী গ্রুপ যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে, আসাদ যখন পালিয়ে যায়, বিরোধী গ্রুপগুলো যখন ক্ষমতাগ্রহণ করবে ঠিক সেই সময় ইসরায়েল সিরিয়াতে হামলা করে অস্ত্রাগার এবং ডকুমেন্টস ধ্বংস করে দেয়। ইসরায়েল এই কাজটি করে যাতে নতুন সরকার ভবিষ্যতে আর উঠে দাঁড়াতে না পারে। 

ঠিক তেমনি বাংলাদেশে এক ঘটনা ঘটে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর যখন শত্রুদের পরাজয় নিশ্চিত, শত্রুরা যখন আত্মসমর্পণের দ্বারপ্রান্তে, নতুন একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করছে তখনি সেই দেশকে কীভাবে সারাজীবনের জন্য পুঁতে ফেলা হয় সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি ভবিষ্যৎ শত্রুরা। তারা দেখলো, নতুন জন্ম নেওয়া দেশের লেখক, অধ্যাপক, সাংবাদিক, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ, ডাক্তার দেশকে অল্প সময়ের মধ্যে গঠনিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম। এজন্য ফ্রুটফুল মেকানিজম কমপ্লেক্সের মাধ্যমে তাদেরকে হত্যা করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা।

অনুরূপভাবে, ২০২৪ বিপ্লবের পর ফ্যাসিবাদের পতন হলে আবারও দেশকে কীভাবে সংস্কারের মাধ্যমে একটি স্থায়ী স্ট্রাকচারাল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গড়ে তোলা যায় সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তরুণ প্রজন্ম। ঠিক তখনি আবার সেই উভয় শত্রুদের সুপার সন্ত্রাস শুরু হয়। দেশবিরোধী অশুভ-অপশক্তিরা চাচ্ছে, সার্বভৌমত্বে গৃহযুদ্ধ, দাঙ্গা বাধাতে। এজন্য তারা ফলস ইনফরমেশন ছড়ানোকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। উদ্দেশ্য তাদের একটি- বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করা, পশ্চিমাদের কাছে প্রমাণ করা যে- বাংলাদেশ উগ্রবাদীদের দখলে।

তবে, সেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে দেশের তরুণ প্রজন্ম, সাংবাদিক, লেখকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীগণ সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য সর্বদা প্রস্তুত। অপশক্তির অপতৎপরতা রুখতে সব ধরনের সতর্কতা এবং সচেতনতা অবলম্বন স্ট্রাকচারাল প্রিভেনশন হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি, অশুভের বিরুদ্ধে শুভের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ