নির্বিঘ্নে সমাবেশ করে পুলিশকে ধন্যবাদ দিল জামায়াত

আরামবাগে জামায়াতের সমাবেশ।
আরামবাগে জামায়াতের সমাবেশ।   © সংগৃহীত

তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুশিঁয়ারি দিয়েছে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান। এ সময় অনেক দিন পরে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পেরে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিন পরে মুক্ত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করতে পারছি। তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’

এর আগে সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি চাইলেও পায়নি দলটি। একই দিন কাকরাইলে সংঘর্ষের পর বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হওয়া নিয়ে কোনো বক্তব্যও দেননি নেতারা। কোনো কর্মসূচির ঘোষণাও আসেনি।

জামায়াত মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে পুলিশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাদের পছন্দের স্থানে সমাবেশ করতে দিলেও জামায়াতকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তবে দুপুরের দিকে ঘিরে রাখা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই আরামবাগে ট্রাকে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ শুরু করে জামায়াত। বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা, যারা গত কয়েক বছর ধরেই নানা সময় অজ্ঞাত স্থানে কর্মসূচি পালন করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে থাকেন।

আরামবাগের সমাবেশে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, “মানুষের ভোটাধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা। আমাদের আন্দোলন চলবে। তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জীবন দিয়ে হলেও আমাদের দাবি আদায় করব।’’

২০০৬ সালের সংঘর্ষের বিষয়ে মুজিবুর বলেন, ‘‘আমরা সেই ২৮ অক্টোবরের প্রতিশোধ নিতে চাই। তবে হত্যার বদলে হত্যা নয়। শহীদদের স্বপ্নকে পুরণ করতে চাই। আমরা কোরআন ও সুন্নাহর আইন চালু করে প্রতিশোধ নেব ইনশাআল্লাহ। কোনো শহীদ ভাইয়ের এক ফোটা রক্তও বৃথা যেতে দেব না।’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলেন বোমা হামলার সামলোচনা করে তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বে অভিশপ্ত জাতি হচ্ছে ইহুদি। তারা এক সময়ে পালানোর জায়গা পাবে না, মুসলমানরা এক সময়ে বিজয়ী হবে। ইহুদিরা পরাজিত হবে।’’

দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাব না।’’

সমাবেশ শেষে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল কর্মীদের বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হল। আপনারা সবাই শাহজাহানপুর দিয়ে চলে যাবেন।”

এরপর কর্মীরা শাপলা চত্বরের দিকে না গিয়ে শাহজাহানপুরের উদ্দেশে আরামবাগ ত্যাগ করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম মাসুম, নায়েবে আমির সামছুল ইসলাম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, আব্দুল হালিম, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আব্দুর রহমান মুসাও।


সর্বশেষ সংবাদ