তিন দিনের অত্যাচারে ইলমার মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি বাবার

বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলামার সহপাঠী ও তার পরিবারের সদস্যরা। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ইলমার শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

পড়ুন: আর কোনো মেয়েকে যেন মেঘলার মত মরতে না হয়

ইলমার বান্ধবী তিথি বলেন, ইলমাকে ক্লাসে আসতে দিত না। তাকে সার্বক্ষনিক পাহারা দিয়ে রাখতো। তাকে মানসিকভাবে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সে একটা সময় বাসা থেকে বের হতে চেয়েছিল কিন্তু তাকে বের হতে দেওয়া হয় নাই।

পড়ুন: ইলমা আবেগী ছিল, সে আত্মহত্যা করেছে: দাবি স্বামীর

ইলমার মা শিল্পী বলেন, আমার অনেক স্বপ্ন ছিল ওকে(এলামা) নিয়ে সেটা ভেঙ্গে গেল। আমি মাঝে মাঝে তাকে বিয়ের কথা বলতাম। সে বিয়ে করতে চাইতো না। তার অনেক স্বপ্ন ছিল। সে পড়াশোনা করবে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে অনেক বড় হবে। কিন্তু আমার মেয়েকে সে (ইলমার স্বামী) নানা রকম মিষ্টি মিষ্টি মিথ্যা কথা বলে তাকে বিয়ে করে।

তিনি আরও বলেন, ইলমার এই খুনের পেছনে তার (ইলমার স্বামী) পরিবারের সবাই জড়িত। কিন্তু কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করছি তার পরিবারের সকলকে ধরেন; তাহলে সব তথ্য পাবেন।

পড়ুন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মহিলা পরিষদের

ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার প্রাণের মেয়ে যাকে আমি কত আশা নিয়ে উচ্চশিক্ষিত করেছি, আজকে আমার সেই মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মিলে তিনদিন ধরে অত্যাচার করে তাকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।

পড়ুন: ফেসবুকে পরিচয়-প্রেম, বিয়ের ৬ মাস না যেতেই লাশ হলেন ইলমা

প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এই অসহায় বাবার কথাটা শুনেন। আপনি এর বিচার করেন। এ হত্যাকান্ডের বিচার না হলে দেশের কোনো মানুষ নিরাপদ থাকবে না। এসময় তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন, আর যেন ইলমার মত কাউকে জীবন দিতে না হয়।


সর্বশেষ সংবাদ