চাকরির জন্য সুপারিশ নয়, মেধাই একমাত্র পথ: সারজিস আলম
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৩ PM , আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৩ PM

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর রিটেন ও ভাইভার প্রস্তুতির দিকেই মনোযোগ দিন, নেতাদের পেছনে ছুটে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম জানান, বর্তমানে পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে এবং এখন চলছে ফিটনেস পরীক্ষা। এই ধাপ উতরে গেলে হবে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা, এরপর ১৫ নম্বরের ভাইভা। অর্থাৎ, ফাইনাল নিয়োগ নির্ধারিত হবে মূলত লিখিত ও ভাইভার ৬৫ নম্বরের ওপর ভিত্তি করে।
গতবারের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৫০০ জন ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৮ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ভাইভা পরীক্ষায় সাধারণত ৭-৮ নম্বর পাওয়াটা সহজ, তাই রিটেন পরীক্ষায় ভালো না করলে সুপারিশ করে ২-৪ নম্বর বাড়িয়ে তেমন লাভ নেই। কারণ, রিটেন পরীক্ষার নম্বরই ভাইভার চেয়ে তিনগুণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করার পর অনেকে রিটেন ও ভাইভা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে দৌড়ান। এই অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। পঞ্চগড় জেলা পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, নিয়োগ হবে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে। কোনো ধরণের সুপারিশ চলবে না।”
সারজিস আরও বলেন, “এই দেশে 'কোটা না মেধা' আন্দোলনের মাধ্যমে হাজার হাজার তরুণ তাদের রক্ত উৎসর্গ করেছে। সেই শহীদদের রক্তকে অসম্মান করার নামই হবে চাকরির জন্য সুপারিশ খোঁজা।”
অবশেষে তিনি আহ্বান জানান, “আমার বা অন্য কোনো দলের নেতার কাছে কেউ সুপারিশের আশায় আসবেন না। বরং আমরা সকলে মিলে চাইব, বাংলাদেশ পুলিশ যেন একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং মেধার জয় সুনিশ্চিত করে।”