৩০ মিনিটে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ৮৫ হামলা যুক্তরাষ্ট্রের

  © সংগৃহীত

সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই হামলা চালানো হয়। এ দিনের হামলাকে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে বি-১ বোমারু বিমানও ছিল। এসব বিমানে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করা হয়। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট।

বিবিসি জানায়, সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এলিট বাহিনী কুদস ফোর্স এবং তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এর মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার সাতটি অবস্থানে ৮৫ টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। এসব অবস্থানের মধ্যে চারটি সিরিয়ায় ও তিনটি ইরাকে।
  
গেল রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় অন্তত তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হন আরও প্রায় ৪১ জন। হামলার দায় স্বীকার করে ইরান-সমর্থিত ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স। এরপরপরই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্র।
 
জবাবে সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানোর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কবে থেকে হামলা শুরু করা হবে, তা স্পষ্ট করে না জানালেও একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছিলেন, কয়েক দিন ধরে হামলা চালানো হবে। বিষয়টি আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
 
এ বিষয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, তার নির্দেশে মার্কিন বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় আইআরজিসি ও তাদের সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এসব স্থাপনা মার্কিন বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হতো।
 
বাইডেন বলেন, আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ শুরু হয়েছে। এটা আমাদের পছন্দমতো সময়ে এবং পছন্দমতো জায়গায় চলতে থাকবে।
 
বিবৃতিতে বাইডেন আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের অন্য কোথাও কোনো সংঘাত চায় না। তবে সবাইকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের সবার জানা দরকার, আপনি যদি একজন আমেরিকানের ক্ষতি করেন তবে আমরা এর জবাব দেব।’
 
ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে এখনো ইরানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি


সর্বশেষ সংবাদ