দুমকীতে বিটিসিএলের সেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা
- মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী
- প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ PM , আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ PM

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিম্নমানের সেবা ও ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার গ্রাহকরা। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছেন, অপরদিকে বিটিসিএলের স্বল্প মূল্যের ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকেরা। দুমকীতে বিটিসিএলের ২৫০ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও তা কমতে কমতে এখন সংযোগ রয়েছে মাত্র ৩টি।
টেলিফোন লাইনে মোটামুটি সংযোগ পাওয়া গেলেও বেশ কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা, এমন অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া বিটিসিএলের কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমেদ পারভেজ জানান, ‘এত দিন টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরে আজ আবার সংযোগ দিয়ে গেছে দুমকী বিটিসিএলের অফিস থেকে। ইন্টারনেট সেবা এখনো পাইনি।’
আরও পড়ুন: বেতন-ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তা, নীরবে চোখের পানি ফেলছেন শিক্ষকরা
উপজেলার ফোরসাইট মেডিকেল ইনস্টিউটের পরিচালক সৈয়দ মজিবর রহমান টিটু অভিযোগ করেন, ‘কিছুদিন আগে লাইনে একটা বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। বারবার তাগাদা দিয়ে টেলিফোন লাইন সংযোগ পেলেও ইন্টারনেট সংযোগ দিতেই পারেনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেও তেমন কোনো সাড়া পাচ্ছি না।’
বিটিসিএলের জেলা কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক (বহি.) মো. আজিমুল্লাহ হক তামিম বলেন, কপারের তারের লাইনের চেয়ে ফাইবার অপটিক্যাবলের লাইনে ইন্টারনেট সেবা উন্নত মানের। দুমকী উপজেলাকে সর্বোচ্চ ডিমান্ডিং এরিয়া উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখতভাবে চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
তবে প্যানেল সমস্যার জন্য এমনটি হচ্ছে বলে ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন বিটিসিএল বরিশালের উপমহাব্যবস্থাপক (টেলিকম) মো. শামীম ফকির। প্যানেল চেয়ে বিটিসিএলের ঢাকা অফিসে দ্রুতই চাহিদা পাঠানো হবে এবং প্যানেলটি আসলে ইন্টারনেট সেবা আগের মতো পাওয়া যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। ইন্টারনেট সেবার মানোন্নয়নে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এটা সত্য নয়। আধুনিক টেকনোলজির সঙ্গে আসলে ব্যাকডেটেড কপারের লাইনের সঙ্গে যায় না।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানদণ্ড না থাকায় দেশীয় গ্র্যাজুয়েটে আগ্রহ কম বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ধর্মমন্ত্রী এম কেরামত আলী দুমকী টেলিফোন এক্সচেইঞ্জের নুতন ভবনের উদ্বোধন করেন। গ্রাহক সেবা উন্নত এবং আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে সাতটি ভাগে বিভক্ত করে ২১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ নামে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ নম্বরে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এ টিম গ্রাহকদের যে কোনো প্রকার অভিযোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি রয়েছে।