ছাত্রকে ছুরিকাঘাত, চিকিৎসায় এক লক্ষ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও নাফি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও নাফি  © টিডিসি ফটো

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত শিক্ষার্থী সাফফাত নাঈম নাফির উন্নত চিকিৎসায় এক লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছিলাম। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা দিবে। ইতিমধ্যে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। অপারেশন ও যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে দেয়া হচ্ছে এবং খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

এর আগে, ছুরিকাঘাতে আহত হন নাফি। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন ধরমপুরের ‘এন.আর ছাত্রাবাসে’ এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত নাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ পড়াশোনা করছেন। মতিহার হলের আবাসিক এই শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়।

সকালে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে যান উপউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা ড. তারেক নূর।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থা নেয় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে সেখানে উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ নকীবসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন : উপকূলের শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ

আন্দোলন এক পর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী আশ্বস্ত করে বলেন, গতকাল বিনোদপুর এলাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত আক্রমণ হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমরা গতকাল রাতে খবর পাওয়ার পর থেকেই তার সুচিকিৎসার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আহত এই শিক্ষার্থীর যাবতীয় ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া তার সুচিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।

অপরাধীদের গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ছাত্রাবাসের মালিককে পুলিশ কাস্টডিতে নেয়া হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা আটক হবে বলে আশ্বস্ত করলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ