রাত জেগে থাকা মানসিক চাপ-উদ্বেগ-বিষণ্ণতার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে: গবেষণা

৫৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী পড়ুয়াদের নিয়ে এক সমীক্ষা করেন
৫৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী পড়ুয়াদের নিয়ে এক সমীক্ষা করেন  © প্রতীকী ছবি

স্কুলে পড়ার সময় থেকেই রাত জাগার বদঅভ্যাস। দিন যত এগিয়েছে সেই অভ্যাস ক্রমে যাপনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বন্ধুদের কাছে ‘নাইট আউল’ তকমাও জুটেছে।

কিন্তু সমস্যা হল, এই রাত জেগে থাকার অভ্যাসই তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি ‘প্লস ওয়ান’ জার্নালে সেই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকেরা প্রায় ৫৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী পড়ুয়াদের নিয়ে এই সমীক্ষা করেন। তাদের ঘুমের ধরন, মান, সময়কাল, একাগ্রতা, উদ্বেগ বা অবসাদের কারণ, মদ্যপানের অভ্যাস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনা করেন। 

দেখা যায়, উপরে উল্লিখিত সব ক’টি কারণের জন্যই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে। রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে জেগে থাকার অভ্যাস এমনিতেই শরীর, মনকে ক্লান্ত করে তোলে। তার উপর একাগ্রতা নষ্ট হয়।

আবেগ এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও লোপ পায়। ‘ইনসমনিয়া’র বা রাত জাগার অভ্যাস থাকলে সহজেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে দেখা যায় কিংবা অবসাদ গ্রাস করে। 

গবেষকেরা বলছেন, যাদের ঘুমের মান ভাল নয়, একই রকম সমস্যায় তারাও ভুগতে পারেন।

সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে কী করতে হবে?
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ঘুমের গুরুত্ব বুঝতে হবে। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোনো অভ্যাস করতে পারলে ভাল। একান্ত যদি না পারেন, সে ক্ষেত্রে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে না ওঠাই ভাল।

খুব সকালের দিকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজ না রাখার চেষ্টা করবেন। সকালের দিকে স্কুল বা কলেজ থাকলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

তবে আশার কথাও শুনিয়েছেন গবেষকেরা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মনের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হবে।

আর সেই নিয়ন্ত্রণ পেতে গেলে নিজেকে কিছু নিয়মে বেঁধে ফেলতে হবে। শুরুর দিকে অসুবিধা হলেও পরে তা অভ্যাসে পরিণত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ