শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রলীগ সমাজসেবা সম্পাদকের শীতবস্ত্র বিতরণ

শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি
শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) শাহেদের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির ১৪তম দিন চলছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক গত ১৪ জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের গোলঘরে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে এ কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহনে তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ।

জানা যায়, করোনা মহামারির মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী অর্থাভাবে দিন কাটাচ্ছে। এই করোনার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, কলেজে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন একাডেমিক ও চাকরির প্রয়োজনে ঢাকায় আসতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে অর্থাভাবে শীতের মধ্যে কষ্টে দিন পার করছেন। তাদের কষ্টের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর শীত বস্ত্র নাই তাদেরকে কম্বল ও চাদর দিচ্ছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৬০০ এর অধিক শিক্ষার্থীকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যেকোন শিক্ষার্থী নাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বললেই দেওয়া হচ্ছে শীত বস্ত্র। তবে, এন্ট্রি করা হচ্ছে না নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছবি না তোলার ব্যাপারেও তারা বেশ সতর্ক। যার ফলে ছেলে শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক নারী শিক্ষার্থী নিচ্ছে শীত বস্ত্র।

এ বিষয়ে শীতবস্ত্র গ্রহণ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শীতের সময়ে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীই উপকৃত হচ্ছে। যে সকল শিক্ষার্থীরা অভাবের কথা কাওকে বলতে পারছে না তাদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে মহান ও ব্যতিক্রমী উদ্যােগ। কোন আনুষ্ঠানিকতা ব্যতিরেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাজসেবা সেল এ কাজ করায় তাদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’

এ প্রসঙ্গে শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ বলেন, ‘প্রতিবারের থেকে এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। প্রয়োজনের তাগিদে ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রী/ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে থাকতে হচ্ছে। নিজেদের সমস্যার কথা জনসম্মুখে বলতে তাদের সংকোচবোধ হয়, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে তো আমরা বসে থাকতে পারি না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদাই আমাদের শিক্ষার্থী ভাই বোনদের সাথে ছিলো, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে।’


সর্বশেষ সংবাদ