ইসিতে নিবন্ধনে এগিয়ে নুরদের গণ অধিকার পরিষদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৪ AM , আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৯ PM
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন কার্যক্রমে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদ এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। এছাড়া গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও একই তালিকায় রয়েছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে অনানুষ্ঠানিক কমিশন বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এসব তথ্য জানান।
মো. জাহাংগীর আলম জানান, নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল, যাদের মধ্যে মোট ৮১টি আবেদন বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪টির নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ছিল না এবং দুটি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, অবশিষ্ট ৭৭টি দলকে ইসির চাহিদা মোতাবেক কাগজপত্র ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়। ১৯টি দল ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে পারেনি। এ ছাড়া চিঠি পাঠানোর জন্য দুটি দলের ঠিকানা ঠিক না থাকায় ফেরত এসেছে। ১০টি ১৫ দিন পর সময়ের আবেদন করেছিল। সেটা নামঞ্জুর করা হয়েছিল। এভাবে ৩১টি আবেদন পরবর্তীতে বাতিল হয়।
আরো পড়ুন: নুরদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘গণ অধিকার পরিষদ’
অবশিষ্ট ৪৪টি আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, নীতিমালা আইন এবং চাহিত তথ্যের সঙ্গে তারা যা দিয়েছে তা পূরণ না করায় ১২টি দল টিকেছে, বাকিগুলো বাতিল হয়েছে।
এই ১২টি দলের মধ্যে রয়েছে- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।
এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের দল ভালো করছে বলেই নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি গণমাধ্যমে বলেছেন। আমাদের সাথে তরুণ সমাজ রয়েছে, দেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের যাচাই বাছাই শেষে আমরা চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন পাবো বলে আশাবাদী।
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক এবং নুরুল হক নুরকে সদস্য সচিব করে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন এ রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশ হয়। নুরুল হক নূর কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে খ্যাতি পান। পরে তিনি ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন।
আর রেজা কিবরিয়া প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে। একটি বোমা হামলায় নিহত শাহ এএমএস কিবরিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁন বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ এবং ২০১৮ এর নির্বাচনে প্রতারণা করেছে তাই তাদের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যৌক্তিকতা নেই। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমরা ৩০০ আসনেই তরুণ প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।