বিসিবিতে অভিযান শেষে যা জানাল দুদক

দুদকের অভিযান
দুদকের অভিযান   © সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ (বিপিএল) ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এবং আন্তর্জাতিক একাধিক সিরিজে টিকিট বিক্রির অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বিসিবি অফিসে আসেন দুদকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময়ে বিসিবি কর্মকর্তা এবং সিইও'র সঙ্গে কথা বলেন তারা। একই সঙ্গে বিপিএলের অনিয়মের নথিপত্রগুলো বিশ্লেষণ করে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। পরে অভিযান শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দুদকের কর্মকর্তারা।

অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অসঙ্গতি আছে। আপনি টিকিট বিক্রির ব্যাপারটি যদি দেখেন, তাহলে আপনি  বুঝতে পারবেন। ৮ বছরে আয় হচ্ছে ১৫ কোটি টাকা, আর এক বছরে আয় হচ্ছে ১৩ কোটি টাকা। সেটাও কেন হলো, আগে নির্দিষ্ট একটা অ্যামাউন্ট নিয়ে চুক্তি করা হতো, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হতো। সেই চুক্তি অনুযায়ী তারা টিকিট বিক্রি করতো এবং হয়তো-বা নির্দিষ্ট একটা অর্থ বিসিবিকে দিতো। যা তাদের আয় হিসেবে গণ্য হতো। 

তিনি যোগ করেন, কিন্তু বিসিবি গত ৩-৪টা আসর নিজেরাই টিকিট বিক্রি করছে এবং আমরা ১১তম আসরে দেখলাম ১৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে। ৮ বছরে যেখানে ১৫ কোটি, সেখানে ১ বছরেই ১৩ কোটি। তাহলে আমরা রেকর্ডপত্র যেহেতু পেয়েছি, সেগুলো পর্যালোচনা করলেই বুঝা যাবে, আসলে এখানে প্রকৃতপক্ষে কি অসঙ্গতি ছিল।

আরেক সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, কর্নসার্টসহ যে প্রোগ্রাম হয়েছিল, সেখানে প্রায় ২৫ কোটি টাকার মত খরচ দেখানো হয়েছে, আমাদের অভিযোগ অনুযায়ী। কিন্তু আসলে খরচ হয়েছে, ৭ কোটির কিছু বেশি। এখানে প্রায় ১৯ কোটি টাকা দেখানো হয়নি। অভিযোগ এসেছে, যেকোনো উপায়ে এটা সরানো হয়েছে। এজন্য অর্থ বিভাগের কাছে আমরা ডকুমেন্টস চেয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ