পিএসসির সঙ্গে আলোচনায় বসছে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৯ PM , আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৯ PM

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলন চলাকালীন সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় ৫ সদস্যের একটি দল আলোচনায় বসতে কমিশনের ভেতরে প্রবেশ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ২টা ৪০ মিনিটে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত পুলিশ ও আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
এর আগে আজ সকাল থেকে পিএসসির আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে একসঙ্গে জড়ো হয়ে পিএসসির সামনে এসে বিভিন্ন স্লোগান তারা। চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। তারা পিএসসির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীরা জানান, এর আগে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালান এবং তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এরই প্রতিবাদ এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছনের দাবিতে আবারও আজকে তারা কর্মসূচি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
গত ৮ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে একদল চাকরিপ্রার্থী পিএসসির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
ওই দিন চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও অর্ধেক প্রার্থীর ভাইভা শেষ হয়নি। যে গতিতে পিএসসি এগোচ্ছে, তাতে আরও এক বছর সময় লাগবে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে। এর মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬-এর লিখিত দেবে। তারা মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন, নাকি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে?
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করল ঢাবি
তাদের দাবি, বাকি থাকা ভাইভা প্রার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে ভাইভা শেষ করা। জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল দিতে হবে।
এ ছাড়া তারা বলেন, নন-ক্যাডার বিধি ২০২৩ বাতিল করতে হবে। ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারে পদসংখ্যা বৃদ্ধি করে ভাইভায় উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরির দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।