ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ৪ বিদেশিকে জার্মানি ছাড়ার নির্দেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ PM , আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ PM

জার্মানিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে চার বিদেশি নাগরিকের ভিসা বাতিল করে তাদের জার্মানি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় তিন ইউরোপীয় এবং এক মার্কিন নাগরিকের ভিসা বাতিল করে তাদের ২১ এপ্রিলের মধ্যে জার্মানি ছাড়তে বলেছে বার্লিনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ না ছাড়লে জোরপূর্বক তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। বিতাড়নের মুখে পড়া ওই চারজনের কেউই কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
আদেশপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা না হলেও, ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়াই যে মূলত তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে, সে বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
নির্দেশ পাওয়া চারজনের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী কুপার লংবটম, যিনি বার্লিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। তার পাশাপাশি রয়েছেন পোল্যান্ডের ৩৫ বছর বয়সী কাসা ব্লেচেক এবং আইরিশ নাগরিক শেন ও’ব্রায়ান (২৯) ও রবার্টা মারে (৩১)। তারা সবাই ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
জানুয়ারিতে ডাকযোগে তাদের কাছে প্রথম চিঠি আসে, যাতে জার্মানিতে তাদের চলাচলের অধিকার হরণের বিষয়টি জানানো হয়। দুই মাস পর তাদের আইনজীবীদের কাছে আসে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিতাড়নের আনুষ্ঠানিক নির্দেশ।
আল–জাজিরার হাতে আসা এক পুলিশি অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই চার ব্যক্তি ইহুদিবিদ্বেষ ছড়ানো ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, তারা ইসরায়েলবিরোধী ঘৃণা ছড়ানো, শান্তি বিঘ্নিত করা, সম্পদের ক্ষতি সাধন এবং গ্রেপ্তার কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগেও অভিযুক্ত।
এদিকে একই ধরনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রেও বিতাড়নের মুখে পড়েছেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল। গ্রিন কার্ডধারী এই শিক্ষার্থী সম্প্রতি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর গ্রেপ্তার হন। অভিবাসন আদালতের এক বিচারক মত দিয়েছেন, তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা যেতে পারে।