জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করা ইবি শিক্ষককে ধাওয়া
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৭ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ০২:১২ PM

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করা এবং বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে ধাওয়া দিয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলামকে এ ধাওয়া দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলায় উপাচার্যের সভাকক্ষে ভর্তি কমিটির এক মিটিংয়ে অংশ নেন বিভাগীয় সভাপতিরা। সভা চলাকালীন শিক্ষার্থীরা বাইরে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সভা শেষে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা বেরিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা শহিদুল ইসলামের দিকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান।
তিনি প্রশাসন ভবন থেকে ভ্যানে উঠে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হলে পেছন থেকে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দেন। পরে তিনি বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে আশ্রয় নেন। শিক্ষার্থীরা সেখানেও গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদুল ইসলাম প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন। আন্দোলনকে নৈরাজ্য বলে অভিহিত করে শাপলা ফোরামের ব্যানারে হওয়া মিছিলে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। সরকার পতনের আগের দিনেও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এতকিছুর পরও তিনি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন।
বিভাগের এক শিক্ষক জানান, বিভাগের ফলাফলে ৩৬তম হয়েও শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় শহীদুল নিয়োগ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের দাপট দেখিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় খারাপ ব্যবহার করেছেন, এমনকি অনেকের গায়েও হাত তুলেছেন।
এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, অফিসিয়াল চিঠিতে সব অনুষদের ডিন ও সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি তার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের অবহিত করেননি। সভা শেষে আমরা তাকে ভ্যানে তুলে দিয়েছি। এরপর তার বিভাগে গিয়েও কথা বলেছি। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।