ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল ২৩ এপ্রিল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৯ AM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৯ PM

ভারতের সংসদে পাস হওয়া ‘ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫’ বাতিলের দাবি এবং দেশব্যাপী মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ২৩ এপ্রিল ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে সংগঠিতভাবে মুসলিম নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দলীয় ছত্রচ্ছায়ায় হিন্দু জঙ্গিগোষ্ঠী মুসলমানদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, সম্পত্তি দখল করছে, এমনকি ওয়াক্ফ সম্পত্তিও দখলে নিচ্ছে। সর্বশেষ এসব দখলকে বৈধতা দিতে ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পাস করেছে ভারতীয় পার্লামেন্ট।
মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, এই আইন মুসলমানদের ধর্মীয় স্বত্বা ও অধিকার হরণের একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। ভারতে মুসলিমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, আমরাও বাংলাদেশ থেকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বকে ভারতের মুসলিম নিধন, ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং ধর্মীয় সম্পত্তি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সরকারের নীরবতা ভারতের অপপ্রচারে উৎসাহ যোগাচ্ছে। সরকারকে অবশ্যই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
নববর্ষ উদযাপন নিয়ে তিনি বলেন, প্রচলিত বাংলা নববর্ষের রীতি-নীতি ইসলামি মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান, জনগণের করের অর্থ ব্যবহার করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী আয়োজন করা যাবে না।
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে আজকের “মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচিতে দেশবাসীর সাড়া প্রমাণ করে—মানুষ ন্যায় ও মানবতার পক্ষে। সরকারকে এখনই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গাজা গণহত্যা বন্ধে জোরালো কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি যেন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব দরবারে গাজা গণহত্যার প্রতিবাদ জানান এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখেন।
সভাটি পরিচালনা করেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আফজালুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কুরবান আলী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মুফতি শরাফত হোসাইন ও মিডিয়া সমন্বয়ক মাওলানা হাসান জুনাইদ প্রমুখ।