দ্বিতীয় বিয়ের জন্য বিলবোর্ডে পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন!
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৫২ PM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২, ০৫:৩১ PM
নিজের তিন সন্তান। ফলে নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার নির্বাচনে লড়াই করার অনুমতি মিলছে না। তাই আসন্ন পৌর নির্বাচনে লড়তে ‘স্ত্রী চাই’ বলে বিজ্ঞাপন দিলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের ঔরাঙ্গাবাদ শহরের এক ব্যক্তি। শহরের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এমন এক বিলবোর্ডে হইচই পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সমালোচনা চলছে এই বিজ্ঞাপন ঘিরে।
মহারাষ্ট্রের ঔরাঙ্গাবাদ শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন।এই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন রাজনৈতিক দক ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’র ঔরঙ্গাবাদ টাউনের সহসভাপতি রমেশ বিনায়করাও পাটিল। তিনি স্থানীয় জমি-বাড়ির ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: ৮ বউ নিয়ে সুখের সংসার সোরোটের
জানা গেছে, রমেশের তিন সন্তান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আসন্ন ঔরঙ্গাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন নির্বাচনে। কারণ স্থানীয় পৌর আইন অনুযায়ী দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে না। ফলে রমেশ বা তার স্ত্রী কেউই নির্বাচনে লড়তে পারছেন না। তাই শনিবার (২৯ জানুয়ারি) শহরের ব্যস্ততম মোড়ে একাধিক ব্যানার বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন রমেশ।
ওই বিজ্ঞাপনে রমেশ লেখেন, নির্বাচনে প্রার্থী করতে চাই স্ত্রীকে। ইচ্ছুক বিবাহযোগ্যা কন্যারা যোগাযোগ করুন। বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। পাত্রী যেকোনো ধর্মে বিশ্বাসী হলেই হবে।
ওই বিজ্ঞাপনে নিজের ফোন নম্বরও দিয়েছেন তিনি। আর এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর রোববার সকাল থেকেই তার কাছে একের পর এক ফোন আসছে বলে দাবি রমেশের। এমনকি পাত্রীর অভিভাবকরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এখন পর্যন্ত তার এই কাজে স্ত্রীর কোনো আপত্তি নেই বলেও জানান রমেশ।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই সেখানকার রাজনৈতিক দল ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’র ঔরঙ্গাবাদ টাউন সহ-সভাপতি রয়েছেন বিনায়করাও। যদিও দলে ততটা সক্রিয় নন, ফলে দলের কোনো শীর্ষ স্থানীয় নেতার সাথে যোগাযোগও করতে পারছেন না। তিনি বলেন, যদি তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন, তবে ওই স্ত্রীকে ঔরঙ্গাবাদ পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী করবেন এবং তাকে জিতিয়েও আনবেন। আর এই কাজে কোনো আপত্তি নেই তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী’র। তিনি কেবল সমাজসেবা করতে চান।
আরও পড়ুন: বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে সাবেক মিস ইউএসএর আত্মহত্যা
বিনায়করাও বলেন, প্রতিটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতারাই ঔরঙ্গাবাদ পৌরসভার নির্বাচনে তাদের আত্মীয়-পরিজনদের প্রার্থী করেছেন। সেই কারণে তিনিও চাইছেন ভরসাযোগ্য কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে ও জিতিয়ে আনতে। যদিও দুই সন্তান নিয়ে সরকারি নীতির কোনো বিরোধিতাই করেননি তিনি। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতে যেতেও নারাজ। আর সেই কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী চাইছেন।