সংখ্যালঘূদের নিয়ে দুই সংস্থার প্রতিবেদনের তথ্যে গরমিল

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ  © সম্পাদিত

দেশের সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়ের মানুষের হতাহত ও সহিংসতা নিয়ে দুই ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আসকের প্রকাশিত ২০২৪ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে চারজনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঐক্য পরিষদের দাবি, গত সাড়ে চার মাসেই ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্য পরিসংখ্যানেও গরমিল পাওয়া গেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসক। এর ১৩ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে ৪০৮টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগ হয়েছে ৩৬টিতে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ১১৩টি।

আরো জানানো হয়েছে, মন্দির ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩২টি। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে ৯২টি প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন জন এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২ জন। আসকের প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আরো পড়ুন: ক্লিনিক্যাল ঘাটতি নিয়েই পড়াশোনা শেষ হয় হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে

এদিকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তাদের দাবি, গত সাড়ে চার মাসে দেশে ১৭৪টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন ২৩ জন। পাশাপাশি ৯টি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ, ৬৪ উপাসনালয়ে হামলা, ১৫টি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ৩৮টি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং ২৫টি বাড়িঘর, জমি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ২১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তারা জানিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ