নেত্রকোনায় বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১ AM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৬ AM
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিম উদ্দিন ফকিরকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নেত্রকোনা সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি জেলা ডিবি ওসি আরমান আলী নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত তাজিম উদ্দিন ফকির কেন্দুয়া উপজেলার দলপা গ্রামের মৃত রাশিদ ফকিরের ছেলে। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি কেন্দুয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
প্রাণ বাঁচাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে কর্মীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং আটটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। অতর্কিত এই হামলায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, সে সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীকে হামলাকারীরা শার্টের কলার ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ওই ঘটনার পর তৎকালীন পরিস্থিতির কারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় মামলা করা হয়েছে। কাজিম উদ্দিন ফকির এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
নেত্রকোনা জেলার ডিবি ওসি আরমান আলী বলেন, আসামি তাজিম উদ্দিন ফকিরকে বাদে আঠারো বাড়ি গ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের করা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার পর আসামিরা গা ঢাকা দেয়। তবে পুলিশ পলাতক আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরের দিকে নেত্রকোনা সদরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলামান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর কেন্দুয়া পৌরসভার বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।