যেভাবে সালথা থানায় হামলা ও সংঘর্ষের সূত্রপাত

সালথায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয়রা
সালথায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয়রা  © সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথায় করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। এরপরই সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে সালথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে ব্যাপক ভাংচুর করেন তারা। একসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেন তারা।

জানা গেছে, এদিন বিকেলে উপজেলার ফুকরা বাজার থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয়দের দাবি, করোনার বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য দুই আনসার সদস্য ও সহকারীকে নিয়ে ফুকরা বাজারে যান এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা। তখন চা পান করতে আসা জাকির হোসেন নামে এক যুবককে লাঠিপেটা করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এ ঘটনার জের ধরে ফুকরা বাজারে স্থানীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় পুলিশের সঙ্গে। পরে বিভিন্ন স্থানে গুজব ছড়িয়ে পড়ে গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এমন গুজবে সারথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন শত শত মানুষ।

সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ফুকরা বাজারে লকডাউন কার্যকর করতে আসার আগে এসি ল্যান্ডের কমিটির সঙ্গে বসা উচিত ছিল। বাজার কমিটির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে লকডাউন কার্যকর হলে এমন ঘটনা ঘটত না।’

তবে এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেছেন, রুটিন ওয়ার্কের অংশ হিসেবে ফুকরা বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দুটি দোকান খোলা থাকায় বন্ধ করতে বলা হয়। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইউএনও হাসিব সরকার ও তাঁর গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পুলিশ জানিয়েছে, ফুকরা বাজারে পুলিশের এক এসআই ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মৌলবাদী গোষ্ঠী সাধারণ মানুষের আড়ালে এ সুযোগ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালেও হামলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি।’


সর্বশেষ সংবাদ