শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাঙালির ভাগ্যের উন্নয়ন হবে: উপাচার্য
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২২, ০৫:৫৫ PM , আপডেট: ১৭ মে ২০২২, ০৫:৫৫ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। কেননা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়নের যে অগ্রগতি, তা শেখ হাসিনা সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশে গণতন্ত্র’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, দেশের এ উন্নয়ন এমনি এমনি হয়নি। ৯১৮১ সালে এসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে লক্ষ্যে দলের ঝান্ডা ধরেন। পরবর্তীতে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের এ রোল মডেলে পরিণত করেছেন তিনি। আল্লাহ হয়তো তার হাত দিয়েই বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতি ঘটাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্বে করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং আলোচক ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম।
আরও পড়ুন: ‘গুচ্ছ ভর্তিতে এসএসসি পাসের সাল বিবেচনায় আনতে চাই না’
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে নানা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। তাঁর এই আগমন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও জণকল্যাণমূখী কার্যকমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, দেশকে বঙ্গবন্ধুর সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘রূপকল্প ২০২১’ সফল বাস্তবায়নের পথ ধরে ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ এর মত দূরদর্শি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বিশ্বে আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে মনে করেন বক্তারা।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতিসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।