চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি  © ফাইল ছবি

র‍্যাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়রি) বেলা ১টায় চবি উপাচার্য দফতরের সিনেট কক্ষে এক জরুরি সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনছুরকে আহ্বায়ক করে এ গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিরেক্টর ড. জারিন আক্তার, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট ড. তড়িৎ কুমার বল, চবি কলেজ পরিদর্শক শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, সহকারী প্রক্টর এসএ এম জিয়াউল ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময়ের হলের ১৬টি কক্ষ ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হলে ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সিক্সটি নাইন উপ-গ্রুপের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০২০ -২১ইং শিক্ষাবর্ষে ছাত্র বাইজিদ সূর্যসেন হল ক্যান্টিনে নাস্তা করতে যান। সেখান থেকে এপিটাফ উপ-গ্রুপের কর্মীরা তাকে সূর্যসেন হলে আটকে রেখে র‍্যাগ দেয়।

পরে ওই শিক্ষার্থী সিক্সটি নাইন গ্রুপের সিনিয়র নেতাদের জানালে সিনিয়ররা সূর্যসেন হলে যায়। এ সময় এপিটাফ ও সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের ১৭ জন কর্মী আহত হয়। এছাড়াও সূর্যসেন হলের প্রশাসনিক ভবন, ক্যান্টিন ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ