ছাত্রলীগের হলের নাম বিকৃতির বিষয়ে যা বললেন উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:৫১ PM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৪১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা করে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে নাম বিকৃতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
তবে ‘অসাবধানতাবশত’ এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় তিনি সংগঠনটির নেতাকর্মীকে এসব বিষয়গুলোতে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, অসাবধানতাবশত এমন হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখানে সবাই মেধাবী শিক্ষার্থী। তাছাড়া যারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তারা সবাইও মেধাবী। তাদেরকে অন্যান্যরা অনুসরণ করে।
আরও পড়ুন: ঢাবির দুই হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ ছাত্রলীগের, ক্ষোভ
অবশ্য এ ঘটনার কারণ হিসেবে ভিন্ন কথা বলছে ছত্রলীগ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হলের নাম সংক্ষিপ্ত করে লেখার কারণেই মুসলিম শব্দটি বাদ পড়েছে। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয়। যদিও ‘শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল,’ ‘কবি জসীম উদ্ দীন হল,’ ‘স্যার এ. এফ. রহমান হল,’ ‘বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল,’ ও ‘ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’ হলগুলোর নাম আরও বড় হলেও বিজ্ঞপ্তিতে কেন সংক্ষিপ্ত করা হয়নি- এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, সংক্ষিপ্ত করে লেখার কারণে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়েছে। তবে এ বিষয়ে ভিন্ন কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
সংগঠনটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেহেতু প্যাডে লিখিত আকারে তথ্যগুলো যাচ্ছে, তাদের এ ব্যাপারে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমরা প্রত্যাশা করছি, ভবিষ্যতে তারা ভুলগুলো সংশোধন করে নেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমেও ‘অসাবধানতাবশত’ এমন ভুলের কথা স্বীকার করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিজ্ঞপ্তির বানানে ভুল হয়েছে। সেগুলো আবার গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছে। শুধু আমাদের নয়, এমন ভুল প্রায়ই দেখা যায়। তবে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত। আমরা এ ধরনের ভুল থেকে বেরিয়ে আসছি।
হলের নামের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, হল তিনটির নাম লিখা রয়েছে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল হিসেবে। এছাড়া হলের বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন ডকুমন্টেস ও শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডের পূর্ণাঙ্গ নাম লেখা হয়।