ফেনীতে তিন মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৮০০ মামলায় দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- ফেনী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৩ PM , আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৩ PM

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফেনীতে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল জেলা প্রশাসন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, যানজট নিরসন, গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আট শতাধিক মামলায় দেড় কোটি টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনের এমন তৎপরতা প্রশংসিত হচ্ছে সচেতন মহলে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ৩২৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে ৭৯৩টি মামলায় ১ কোটি ৮৮ হাজার ৪৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ৮৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, যানজট নিরসন, গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগে এ জরিমানা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত তিন মাসে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে আনুমানিক ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রমজান ও ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি, যানজট নিরসন এবং গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে জেলায় ১৪৩টি অভিযানে ৪১৪টি মামলা করা হয়েছে। এতে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নুরুল আমিন সজিব নামে স্থানীয় এক সংগঠক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবকিছু নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে মানুষের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা কমেছে। প্রশাসন যদি সবসময় এমন তৎপর থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।’
আইয়ুব আলী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রশাসনের এই ধরনের তৎপরতা খুবই প্রশংসনীয়। আগে যেখানে অনিয়ম ছিল নিয়ম, এখন তা কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এই অভিযান যেন শুধু মৌসুমভিত্তিক না হয়, নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই মানুষ আইন মানতে বাধ্য হবে এবং জনদুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে।’
এ ব্যাপারে ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এসব অভিযান শাস্তিমূলক নয়, বরং সতর্কতা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই পরিচালনা করা হয়। তবে স্থানীয়ভাবে সচেতনতা ছাড়া এমন অপরাধ রোধ করা সম্ভব না। সকলে যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় ও বিষয়গুলো ইতিবাচক হিসেবে দেখে তাহলেই অপরাধ কমানো সম্ভব।’