শেষ হলো ঢাবির শতবর্ষপূর্তির ৫ দিনব্যাপী আলোচনা সভা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সমাপনী দিনের আলোচনা সভা আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্বের সূচনা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক এ আর এম মনজুরুল আহসান বুলবুল অংশগ্রহণ করেন।

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। গবেষণা ছাড়া একটি জাতি ও দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। যুগোপযোগী শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনা এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও সমাজকে এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই রাষ্ট্র সৃষ্টিতে অনন্য অবদান রেখেছে এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে জাতিকে সমৃদ্ধ করেছে। আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের উচ্চ শিক্ষার মান আরও বাড়াতে হবে ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা ধরে রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং নিয়ে এতো আলোচনা কেন, প্রশ্ন শিক্ষা উপমন্ত্রীর

সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ, পরিবার, সমাজের কল্যাণ সাধনে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একশ’ বছর ধরে মুক্তবুদ্ধির চর্চা, জ্ঞান চর্চা এবং জ্ঞান বিতরণ করে চলেছে। গণতান্ত্রের সূতিকাগার এই বিশ্ববিদ্যালয় শিখিয়েছে কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়।

আরও পড়ুন: এক মাস পেছাল ঢাবির শতবর্ষের অনুষ্ঠান

আলোচনা সভা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের ৫দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সকল আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীসহ আলোচকবৃন্দের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এছাড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীবৃন্দ, অতিথিবৃন্দ, সকল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং শতবর্ষের নানা আয়োজন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার ইউনিটসহ যে সকল প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামালও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করবে ঢাবি: উপাচার্য

আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জনপ্রিয় ব্যান্ড দলসমূহের পরিবেশনায় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ