ছাত্রলীগের অবরোধে ১৪ বিভাগের ১৬টি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত

 ছাত্রলীগের অবরোধ
ছাত্রলীগের অবরোধ  © সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ ১৪টি বিভাগের ১৬টি বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। এগুলো হলো ফিশারিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষ, সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টার, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ ও প্রথম বর্ষ, পালি বিভাগের স্নাতকোত্তর, মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টার, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম সেমিস্টার, দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর, আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টার, ফাইন্যান্স বিভাগের সপ্তম সেমিস্টার, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কয়েকজন এসে পরিবহন দপ্তরের ফটকে তালা দেন। এ সময় তাঁরা কয়েকটি বাসের চাবিও নিয়ে যান। তাই ক্যাম্পাস থেকে কোনো বাস নগরের উদ্দেশে যেতে পারেনি।

আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের অবরোধে বিপাকে ভর্তিচ্ছু ও শিক্ষার্থীরা

নগরের বটতলী থেকে ক্যাম্পাসে দিনে সাতবার আসা-যাওয়া করে শাটল ট্রেন। এ ট্রেনে দৈনিক ১০ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। কিন্তু অবরোধ ডাকা নেতা-কর্মীরা একটি ট্রেন নগরের ঝাউতলা স্টেশন ও আরেকটি ষোলশহর স্টেশনে আটকে দিয়েছেন। ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এস এম ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দুটি শাটল স্টেশনে আটকে রয়েছে। কখন চলবে, তা বলা যাচ্ছে না।

আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের আজ চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। প্রস্তুতি নিয়ে আজ সকালে ক্যাম্পাসে এসে তিনি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কথা জানতে পারেন। মাহফুজুর বলেন, ‘ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ফল ভোগ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে এমনিতেই আমরা পিছিয়ে গেছি। এখন আবার ছাত্রলীগের অবরোধের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হলো।’

দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এ ধরনের পরিস্থিতি চাই না।’

শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলাম অনেক দিন ধরে। আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য না করতে অনুরোধ করেছি। কোনো লাভ হয়নি। পদবঞ্চিতদের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের এ দায়ভার শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে।

 


সর্বশেষ সংবাদ