অধ্যাপনা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে যারা

শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতে সফল হয়েছেন যারা
শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতে সফল হয়েছেন যারা  © ফাইল ছবি

একসময়ে অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন। নিজের গবেষণার পাশাপাশি আলোকিত করেছেন শিক্ষার্থীদের। সময়ের প্রয়োজনে তাদের কেউ কেউ যুক্ত হয়েছেন রাজনীতিতে। আবার কেউ কেউ ছাত্র রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পা বাড়িয়েছেন এই পথে। পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয়ও কাউকে কাউকে উৎসাহিত করেছে রাজনীতির ময়দানে আসতে। দেশ গড়তে এসে অনেকে হোঁচট খেয়েছেন। আবার এগিয়েছেন সর্পিল গতিতেও। রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। হয়েছেন এমপি-মন্ত্রীও। বলছিলাম, বাংলাদেশের সেসব রাজনীতিবিদদের কথা যারা কর্মজীবনের শুরুতে অধ্যাপনা পেশায় যুক্ত ছিলেন। পরে রাজনীতিতে এসেছেন।

ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

মানুষের কাছে তিনি বি. চৌধুরী নামেই বেশি পরিচিত। কুমিল্লায় নানার বাড়িতে জন্ম নেয়া এই রাজনীতিবিদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। বাবা কপিল উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রাদেশিক পরিষদের মন্ত্রী। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী বদরুদ্দোজা চৌধুরী পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের নবীন অধ্যাপক হিসেবে সেখানেই অধ্যাপনা শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। ষাটের দশকে জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘আপনার ডাক্তার’ এর উপস্থাপক হিসেবে সুনাম কুড়ান। পান স্বাধীনতা পদক পুরস্কারও। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়ে প্রথম রাজনীতির মাঠে পা রাখেন। ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের উপ-প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার সিঁড়ি ঢাবি শিক্ষক সমিতি

মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি সরকারের শাসনামলে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান ডা. বি চৌধুরী। তবে ২০০২ সালের ২১ জুন নিজ দলের সাথে মতের মিল না হওয়ায় তাকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। পরে তিনি তার একমাত্র ছেলে মাহী বি চৌধুরীকে নিয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। বর্তমানে এটির সভাপতি হিসেবে আছেন তিনি।

ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ

ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদের জন্ম মুন্সিগঞ্জে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তার সক্রিয় উপস্থিতি ছিলো। ১৯৬৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতার জীবনে তিনি অনুষদের ডিন, বিভাগের প্রধান, হলের প্রভোস্ট, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং বোর্ড অফ এডভান্স স্টাডিজ এর সদস্য ছিলেন। বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত ড. ইয়াজউদ্দিন শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে সভাপতি ও সম্মলিত শিক্ষক আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। ১৯৯১ সালে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯১-৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ও ১৯৯৫-৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০২ সালে বিএনপির শাসনামলে ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রাজনীতির কালো অধ্যায় ১/১১ এর প্রাক্কালে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে তিনি ২০০৭ সালে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে জুনিয়র প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষেদের আহ্বায়ক ছিলেন। পরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির লক্ষে তিনি প্রবাসীদের সংগঠিত করেন। শিক্ষকতা পেশায় থাকা অবস্থান জিয়াউর রহমানের আহ্বানে ১৯৭৯ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তারপরও তিনি অধ্যাপনা চালিয়ে গেছেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার উদ্ভাবিত `হুসেইন’স মেথড অব এক্সটেনশন' আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। কুমিল্লা-২ আসন থেকে তিনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি সরকারের সময়ে তিনি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পর সংগঠনটির এস.এম. হল শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের  সময়ে  বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির দায়িত্বে পালন করেন তিনি। ১৯৭২ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করা ছাড়াও পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনাসহ বাংলাদেশ সরকারের পরিদর্শন ও আয়-ব্যয় পরীক্ষণ অধিদপ্তরে নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন: ভিসি-ট্রেজারার নেই ৬৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৮৫টিতে নেই প্রো-ভিসি

১৯৮৬ সালে পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মির্জা ফখরুল শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যহতি নেন এবং সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮৮ সালের ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যখন দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে তখন মির্জা ফখরুল বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে মির্জা ফখরুল বিএনপির ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। একইসঙ্গে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ ও সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যদিও সর্বশেষ সংসদে তিসি শপথ নেন নি।  বিএনপির শাসনামলে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ড. গওহর রিজভী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন গওহর রিজভী। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সেন্ট এ্যান্থনি'স কলেজ,অক্সফোর্ড এ জুনিয়র প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সিনিয়র সহযোগী সদস্য হিসেবে ছিলেন। এরপর ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত ব্যালিওল কলেজ, অক্সফোর্ড এ ইতিহাস পড়ান। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপনা করেন। ২০০৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

ফরহাদ হোসেন

রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া ফরহাদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা সিটি কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। তার পিতা মো. সহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর সহচর ছিলেন। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সংসদ সদস্যও ছিলেন তার বাবা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন ফরহাদ হোসেন। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

ড. আব্দুল মঈন খান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান। বাবা বিএনপি নেতা আব্দুল মোমেন খানের হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন তিনি। তার বাবা বিএনপির শাসনামলে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদী-২ আসন বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন। তিনি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ড. বদরুদ্দিন ওমর

কর্মজীবনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন বদরুদ্দীন উমর। পরে ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের যাত্রাও শুরু হয় তারই হাত ধরে। তবে অধ্যাপনা ছেড়ে ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তাকে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১৯৭৬ সালের মাঝামঝি অনুষ্ঠেয় বিশেষ কংগ্রেসের প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন এবং সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ

রাকসুর ভিপি অধ্যাপক ড.আবু সাইয়িদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও ছিলেন। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তিনি এম.এন.এ নির্বাচিত হন । মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন এই রাজনীতিবিদ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পাবনা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৫ সালে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল সরকার কর্তৃক পাবনা জেলার গভর্নর নিযুক্ত হন। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই সংসদে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি গণফোরামের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

অধ্যক্ষ মতিউর রহমান

জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। স্বল্পকালীন সময়ের জন্য তিনি ময়মনসিংহ কলেজেও শিক্ষকতা করেন। মতিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ঢাকা হল বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংগঠনিক জীবনে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান দুইবার ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করছেন। একাধিকবার জাতীয় সংসদে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ সরকারর ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

ড. শামসুল আলম

বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন কৃষিবিদ ড. শামসুল আলম। চাঁদপুরে জন্মগ্রহণকারী এই রাজনীতিবিদ ১৯৭৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। 

আহসানউল্লাহ মাস্টার

গাজীপুরের সন্তান আহসানউল্লাহ মাস্টার ১৯৭০ সালে ডিগ্রি পাস করার পর টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি ওই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক (১৯৭৭-১৯৮৪) ও প্রধান শিক্ষকের (১৯৮৪-২০০৪) দায়িত্ব আমৃত্যু পর্যন্ত পালন করেন। আহসানউল্লাহ মাস্টার টঙ্গী শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের এই রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় এই বরেণ্য রাজনীতিবিদের। পরে তিনি জাতীয় রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ