ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, কারাগারে হলি ফ্যামিলির সেই শিক্ষক

ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী
ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী   © ফাইল ছবি

রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নীতিমালা করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালমান রহমান ওই চিকিৎসককে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। বিকেলে বিচারকের খাস কামড়ায় রিমান্ড বিষয়ে শুনানি হয়।

ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: যে কারণে বেড়েছে পাসের হার

আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রমনা থানায় ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মেসেঞ্জারে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর আটকে রাখার হুমকি দেন সালাউদ্দিন চৌধুরী। এরপর কলেজে বিভিন্নভাবে ডেকে তার দেওয়া মেসেজ ফোন থেকে মুছে ফেলতে এবং তার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করতে বলেন।

আরও পড়ুন: মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

এর আগে ওই শিক্ষক কলেজে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে দুই দফায় ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন, কিন্তু পড়াননি। পড়ার জন্য বারবার তার বাসায় যেতে বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রী বাসায় যেতে রাজি হননি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। লোকলজ্জায় এতদিন কিছু না বললেও দিন দিন একাডেমিক লাইফ চরম হুমকির মুখে পড়ে। ডা. সালাহউদ্দিন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ওই ছাত্রীকে ভয় দেখান।

এসব অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী প্রথমে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।


সর্বশেষ সংবাদ